Homeসব খবরবিনোদন১৯৬৪ সালের পর থেকে চুলে তেল দেন না আলমগীর

১৯৬৪ সালের পর থেকে চুলে তেল দেন না আলমগীর

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে জন্মগ্রহণ করেন ৮০ ও ৯০ দশকের বাংলা সিনেমার চিরসবুজ অভিনেতা, প্রযোজক ও পরিচালক আলমগীর। তার পুরো নাম মহিউদ্দিন আহমেদ আলমগীর। বাবা কলিম উদ্দিন আহম্মেদ ওরফে দুদু মিয়া ছিলেন ঢালিউডের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’ এর অন্যতম প্রযোজক।

পর্দায় সাবলীল অভিনয় দিয়ে সব ধরনের চরিত্রে ফুটিয়ে তুলতেন নিজেকে। শুধু অভিনয় নয়, গানও গাইতে পারেন আলমগীর। একসময় সংগীতশিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদীর কাছে গান শিখেছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে প্লেব্যাকেও গান গেয়েছেন। ‘আগুনের আলো’, ‘কার পাপে’, ‘ঝুমকা’ ও ‘নির্দোষ’ চলচ্চিত্রে গান গেয়েছেন গুণী এই অভিনেতা।

গত ৩ মার্চ ছিল তাঁর জন্মদিন। ছোটবেলায় আলমগীরের জন্মদিন পালন করতেন তার বাবা-মা। এখন পরিবারের সঙ্গে ঘরোয়া আয়োজনে কাটান দিনটি। বছরের অন্যান্য দিনের মতোই আলমগীর তার জন্মদিনও স্বাভাবিকভাবেই কাটানোর চেষ্টা করেন।

কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৯ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। এছাড়া ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। ২০১৯ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ‘আজীবন সম্মাননায়’ ভূষিত হন এই অভিনেতা। জন্মদিন উপলক্ষ্যে তিনি একটি বেসরকারি টিভিতে সাক্ষাৎকার দেন। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন তার মেয়ে আঁখি আলমগীর ও নায়ক রিয়াজ।

কথা প্রসঙ্গে আলমগীরের জন্মদিন, পোশাক ও চুলের প্রসঙ্গ চলে আসে। হাসির ও মজার ছলে আলমগীর ও তার মেয়ে আঁখি বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।

আঁখি বলেন, আব্বু চুলের ব্যাপারে খুবই সচেতন। চুল এভাবেই থাকতে হবে, ওভাবেই থাকতে হবে, এই স্টাইলেই থাকতে হবে। আমি দেখেছি আব্বু ঘুমের মধ্যেও চুল ঠিক করছেন। চুল নিয়ে আব্বুর কত ভাবনা। তার প্রথম জিনিস চুল।

চুল প্রসঙ্গে আলমগীর বলেন, অনেকে আছেন না; চুলটা যাতে পড়ে না যায়, এজন্য অনেক কিছু করে; কিন্তু আমি কিছুই করি না। সাধারণত একদিন বা দুই দিন পর মাথায় শ্যাম্পু করি। এছাড়া আর কিছু না। তবে আমি মাথায় কোনো তেল দেই না। খুব সম্ভবত ১৯৬৪ সালের পর থেকে আর কোনো দিন তেল দেই নাই। কারণ ১৯৬৪ সালে লাহোরে পড়তে যাই। তখন সেখানে কোথায় তেল খুঁজব আর মাথায় তেল দেব; সেই থেকে যে তেল দেওয়া বন্ধ হলো আজ অবধি তেল দেইনি।

তেল না দেওয়ার বিষয়ে আঁখি বলেন, চুলে তেল দেওয়া ভালো তবে আব্বুর চুল তার চেয়েও ভালো। আঁখি তার বাবার পোশাক নিয়েও কথা বলেন। বলেন, আব্বু পোশাকের বিষয়ে অনেক পছন্দশীল। পোশাকের বিষয়ে উপস্থাপিকা আলমগীরকে বলেন, আপনি অনেক পরিপাটি থাকেন।

মজার ছলে উপস্থাপক প্রশ্ন করেন, আপনি রাতে যখন ঘুমাতে যান তখন আপনার পোশাক কি আইরন করা থাকে। জবাবে আলমগীর বলেন, মনটাকে আইরন করে রাখি।

তিনি আরও বলেন, ড্রেসটা তো আইরন করা থাকেই। আজকাল প্রিন্টের পাইজামা ও টিশার্ট পাওয়া যায়। সেগুলো ওয়াশ করার পর আইরন করে আলমারিতে রাখা হয়। সেখান থেকে বের করে পরে নেই। পরার পর আর আইরন থাকে না। মনটাকে আইরন করে রাখি- তাহলেই সব ঠিকঠাক থাকে।

আলমগীর বলেন, আমার একটি জন্মদিনের কথা মনে পড়ে। আমি একটি ছবির শুটিং করছিলাম। ছবিটি ছিল ‘আমিই সেই মেয়ে’।

ছবির প্রডিউসার ছিলেন ঢাকার নাসির উদ্দিন দিলু ও রহুল আমিন বাবুল। এটা একটি পো-প্রোডাকশন ছিল। কলকাতার ছিলেন তচুন ঘোষ। শুটিংয়ের সময় দেখলাম দুটো কেক আসছে। তো মনে হলো ৩ মার্চ আমার জন্মদিন; তাই। কিন্তু কেক দুটো কেন? কেক দুটো রাখা হলো। বলা হলো আসুন আপনাদের দুজনের জন্মদিন। অন্যজন হলেন জয়াপ্রদা।

আলমগীর বলেন, তিনজনের জন্মদিন একই দিনে। আমি, মুম্বাইয়ের আর্টিস জয়াপ্রদা এবং অজয় দেবগন।

Advertisement