Homeসব খবরজেলার খবরহাওরে এলিভেটেড সড়ক প্রকল্প অনুমোদন

হাওরে এলিভেটেড সড়ক প্রকল্প অনুমোদন

সুনামগঞ্জের হাওরে প্রায় ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বা উড়াল সড়ক নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

একই প্রকল্পে ওই এলাকায় সব ঋতুতে চলাচল উপযোগী সড়ক বা সাবমার্সিবল (ডুবন্ত) রোডও তৈরি করা হবে।মঙ্গলবারের (২৩ নভেম্বর) একনেকের সভায় গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একনেকের অন্য সদস্যরা শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষ থেকে অংশ নেন।

সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা পাশাপাশি জেলার হওয়ার পরও সড়কপথে পরস্পর যোগাযোগবিহীন অবস্থায় রয়েছে। এ দুই জেলার মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। উড়াল সড়ক এ দুই জেলার সংযোগ স্থাপন করবে। পাশাপাশি এলাকার অন্যান্য গ্রামীণ সড়কও উন্নত করা হবে।

‘হাওর এলাকায় উড়াল সড়ক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। এর আওতায় অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে হাওর অঞ্চলে সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজীকরণ, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণে সহযোগিতা এ প্রকল্পের লক্ষ্য।

‘প্রকল্পভুক্ত এলাকা হলো সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলা এবং নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলা। ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শেষ করা হবে। এতে ব্যয় হবে তিন হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। পুরো প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে দেশীয় অর্থে।

প্রকল্পের আওতায় প্রধান কাজের মধ্যে রয়েছে- ১০ দশমিক ৮১ কিলোমিটার এলিভেটেড সড়ক উন্নয়ন, ৯৭ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার অল সিজন উপজেলা সড়ক, ২০ দশমিক ২৭ কিলোমিটার ইউনিয়ন সড়ক উন্নয়ন, ১৬ দশমিক ৫৩ কিলোমিটার সাবমার্সিবল উপজেলা সড়ক, ২২ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার সাবমার্সিবল ইউনিয়ন ও গ্রাম সড়ক এবং ৫৭টি ব্রিজ ও ১১৮টি কালভার্ট নির্মাণ (মোট দৈর্ঘ্য পাঁচ হাজার ৬৮৮ মিটার)।

এ ব্যাপারে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি নিয়ে শুরুতেই প্রশ্ন ছিল। সড়ক ও সেতু বিভাগ আপত্তিও দিয়েছিল। অবশেষে এলজিইডি প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সবার সঙ্গে যেন সমন্বয় করে কাজটি করা হয়।

সূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর।

Advertisement