Homeসব খবরজাতীয়স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কারণে টিকা পেতে দেরি হচ্ছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কারণে টিকা পেতে দেরি হচ্ছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেরির কারণে রাশিয়া ও চীন থেকে করোনাভাইরাসের টিকা সংগ্রহে সময় লাগছে। তবে চীন থেকে টিকা আনার প্রক্রিয়া প্রায় শেষপর্যায়ে। রাশিয়ার সঙ্গে কিছু বিষয়ে ডকুমেন্ট সই হয়েছে, কিছু বিষয়ে হয়নি।

বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীন তিনটি ডকুমেন্ট পাঠিয়েছিল। এরমধ্যে আমরা দুটি ডকুমেন্ট তাদের ফেরত পাঠিয়েছি। দুটির মধ্যে একটি গত বুধবার ফেরত পাঠিয়েছি। এর একটি অংশ ছিল ইংরেজি এবং আরেকটি অংশ চীনা ভাষায়। আমাদের কাছ থেকে ফেরত পাঠানোর সময় চীনা ভাষার অংশে সই করা হয়েছে। চীনা ভাষার একজন অধ্যাপককে নিয়োগ করা হয়েছে সংশোধনের জন্য।

তিনি বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুধু যোগাযোগ করিয়ে দেয়। অন্য সব বিষয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেখে। সেখানে একটু দেরি হচ্ছে। সেজন্য বেইজিংয়ে আমাদের রাষ্ট্রদূত অত্যন্ত হতাশ। কারণ, কাগজপত্র চূড়ান্ত না হলে প্রক্রিয়া শেষ হবে না বলে রাষ্ট্রদূত আমাকে ফোন করে, টেপট করে জানিয়েছেন। আমি সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যসচিব এবং মুখ্যসচিবকে পাঠিয়ে দিয়েছি, তাগাদা দেওয়ার জন্য।’

রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, শুরুতে টিকার একটি সংখ্যা বলা হয়েছিল এবং পরে আবারও সংখ্যা বদল করা হলো। রাশিয়ানরা এটি পছন্দ করে না। মস্কো যে বিষয়গুলো পছন্দ করে না, সেই কাজগুলো করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এগুলো নিয়ে আমরা ব্যস্ত আছি। আশা করছি এ সপ্তাহের মধ্যে শেষ করতে পারব।

এদিকে পদ্মায় দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের সঙ্গে যা ঘটেছে, তা খুবই দুঃখজনক। এ ঘটনায় দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে এবং এই পরিস্থিতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেই মোকাবিলা করতে হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিক রোজিনার ঘটনাটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ম্যানেজ করা উচিত ছিল। গুটি কয়েক লোকের জন্য এই বদনামটা হচ্ছে। এ ঘটনা অত্যন্ত অনভিপ্রেত। এর পুনরাবৃত্তি যেন আর না ঘটে, সেটাই প্রত্যাশা।

তিনি সাংবাদিকদের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, সংবাদমাধ্যম দেশের জন্য বিরাট কাজ করছে। তাদের কারণে আমরা বালিশকাণ্ড শুনেছি, আমরা লাখ টাকার সুপারি গাছের কথা শুনেছি, সাংবাদিকদের কারণেই সেই শাহেদ করিমের (রিজেন্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার) তথ্য পেয়েছি। সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিয়েছে। এসব তথ্য সামনে নিয়ে এসে সাংবাদিকরা সরকারকে খুব সাহায্য করছেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সাংবাদিকবান্ধব। আমরা কখনোই আপনাদের কিছু লিখতে নিষেধ করি না। এ সরকারের লুকোনোর কিছু নেই।

Advertisement