Homeসব খবরজেলার খবরস্বাদ ও পুষ্টিগুণে অনন্য কাদাকনাথ মুরগি পালনে ঝুঁকছে খামারিরা

স্বাদ ও পুষ্টিগুণে অনন্য কাদাকনাথ মুরগি পালনে ঝুঁকছে খামারিরা

কাদাকনাথ মুরগি বিশ্বের সবচেয়ে দামি মুরগি হিসেবে বিবেচিত হয়। বিদেশে এর চাষ হলেও এই মুরগির দাম, বাজারে চাহিদা ও স্বাদ পুষ্টিগুণে অনন্য হওয়ায় ইদানিং কালে দেশের অভ্যন্তরে এই জাতের মুরগি চাষে ঝুকে পড়ছে দেশীয় খামারিরা। বর্তমানে বাংলাদেশেই শুরু হয়েছে এর বাণিজ্যিক চাষাবাদ। স্বাদ ও পুষ্টিগুণে অনন্য মুরগির একটি জাত কাদাকনাথ বা কালো মুরগি।

২০১৬ সালে এই কালো মুরগি বা কাদাকনাথ জাতের মুরগিটি প্রথম দেশে নিয়ে আসেন নরসিংদী জেলার মজলিসপুরে কামরুল ইসলাম মাসুদ। তার হাত ধরেই শুরু হয় এর বাণিজ্যিক উৎপাদন। এই জাতের একটি মুরগি ডিম পাড়ার উপযোগী হতে ছয় মাসের মত সময় লাগে। প্রতিটি মুরগি বা মোরগের ওজন দুই থেকে আড়াই কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।

খামারি কামরুল ইসলাম বলেন, কাজের সূত্রে ভারতে গিয়ে কালো মুরগি খেয়ে তিনি অবাক হই। এই মুরগির সবকিছুই কালো। মাথার ঝুঁটি থেকে পা পর্যন্ত সব অঙ্গের রং কালো। এমনকি পালক, চামড়া, ঠোঁট, নখ, ঝুঁটি, জিভ, রক্ত, মাংস, হাড়ও কালো। এই মুরগিটির ঔ/ষধি গুনাগুণ থাকায় বর্তমানে এর কদর সর্বত্র বলেও তিনি জানান। ভারতের মধ্য প্রদেশ থেকে ৩০০ মোরগ ও মুরগি নিয়ে দেশে এসে উৎপাদন শুরু করি।

বর্তমানে খামারে মাসে দুই থেকে আড়াই হাজার কালো মুরগির বাচ্চা ফোটে। পাশাপাশি একজোড়া কালো মুরগি ও মোরগের দাম চার হাজার টাকা দরে বিক্রি হয় বলেও তিনি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক অধ্যাপক মাকসুদা বেগম বলেন, দেশি মুরগির চেয়ে এই মুরগির মাংসের স্বাদ বেশি। খাদ্যগুণের বিচারে কালো মুরগির মাংসে প্রচুর অ্যা/ন্টিঅক্সি/ডেন্ট এবং আয়রন রয়েছে। সাধারণ মুরগির তুলনায় এই মুরগির মাং/সে কোলে/স্টরেলের মাত্রাও অনেক কম থাকে। এই মুরগি র/ক্তচাপ এবং র/ক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এই মুরগির মাংসে ফ্যাটি অ্যা/সিড উপাদান অনেক বেশি থাকে। কিন্তু প্রো/টিনের মাত্রা অন্য সব মুরগির মাংস থেকে কয়েক গুণ বেশি।

উল্লেখ্য যে, এই মুরগির আসল নাম আয়্যাম কেমানি, ইন্দোনেশীয় ভাষায় আয়্যাম মানে মুরগি এবং কেমানি অর্থ পুরোপুরি কালো। ভারতের মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ এই মুরগির নাম কাদাকনাথ বা কালোমাসি।

Advertisement