Homeসব খবরবিনোদনসূবর্ণচরে সরিষার বাম্পার ফলন

সূবর্ণচরে সরিষার বাম্পার ফলন

সরিষা ক্ষেতে ইতোমধ্যে বীজ আসতে শুরু করেছে । আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার কৃষকেরা বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন। বিস্তৃত ফসলের মাঠে খণ্ড খণ্ড হলুদ সরিষা ফুলের সমরোহ, মৌমাছির ভোঁ ভোঁ শব্দের সঙ্গে মন জুড়ানো প্রাকৃতির দৃশ্য নোয়াখালী উপকূলীয় উপজেলা সূবর্ণচরের মাঠজুড়ে। এ বছর সরিষা চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষক। অন্য বারের তুলনায় সরিষার আবাদ হয়েছে বেশি।

জেলার সর্ব দক্ষিণের উপজেলা চরবাটা, চরজব্বর ও চরকার্ক্ল এই উপজেলাগুলোতে বছরে এক জমিতে এক থেকে দুটি ফসলের বেশি আবাদ হতো না। আমন কাটার পর পরে থাকা জমিগুলোতে আবাদ হচ্ছে সরিষা। এতে লাভবান হচ্ছেন কৃষক। তবে সরকারের কৃষিবান্ধব নানা পদক্ষেপের কারণে বর্তমানে এই উপজেলার জমিতে চাষ হচ্ছে তিন ফসল।

উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় এবার উপজেলার আটটি ইউনিয়নে সরিষার আবাদ হচ্ছে। মাঠের পর মাঠজুড়ে সরিষা ফুলের নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। ফুলে ফুলে মধু আহরণে ভিড় করছে দলবদ্ধ মৌমাছি। অনেক জমিতে ফুল শেষ হয়ে বীজ দেখা গেছে। বীজগুলো বেশ তরতাজা, যা ভালো ফলনের আভাস দিচ্ছে।

উপজেলার চরবাটার কৃষক ৩ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন কৃষক আক্কাছ মিয়া । তিনি বলেন, ‘আগে ধান কাটার পর জমি ফেলে রাখতাম। এখন ফেলে না রেখে সরিষার চাষ করছি। এতে বাড়তি আয় হচ্ছে। সরিষা বিক্রির টাকা দিয়ে চলতি মৌসুমে ধান আবাদ করবো।’

চরবাটার আরেক কৃষক রফিকুল বলেন, ‘সরিষা চাষে খরচ কম। অন্য ফসলের তুলনায় ফলনও ভালো হয়। অন্য সময়ে সরিষা ঘরে তোলা যায়। সরিষা চাষে আমি বেশ লাভবান হয়েছি।’

চরক্লার্ক ইউনিয়নের কৃষক মো. এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে নতুন জাতের বীজ ও সার এবং নগদ অর্থ দিয়েছে। কৃষি অফিসের পরামর্শে ঝুঁকি নিয়ে ৫০ একর জমিতে সরিষা আবাদ করি। গাছে ভালো ফলন দেখা গেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো লাভ পাওয়ার স্বপ্ন দেখছি। লাভবান হলে আগামীতে আরও ব্যাপক হারে চাষাবাদ করবো ইনশাল্লাহ।’

উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, গত বছর এ চরক্লার্ক ব্লকে মাত্র ১ হেক্টর সরিষাআবাদ হয়। কিন্তু ভালো ফলন ও লাভবান হওয়ার এবার চলতি বছর এ চরক্লার্ক ব্লকে ত্রিশ হেক্টর জমিতে সরিষাচাষাবাদ করেছে কৃষকরা। তবে সঠিক সময়ে বীজ বোপন করায় প্রায় ক্ষেতে সরিষার ভালো সম্ভাবনা দেখা গেছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. হারুন অর রশিদ জানান, সুবর্ণচর উপজেলার আটটি ইউনিয়নে এবার মোট ৩৪০হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ করেছে কৃষকরা। আশা করি এবার লাভের মুখ দেখবে কৃষক।

Advertisement