Homeসব খবরজেলার খবরসুবর্ণচরে সূর্যমুখী চাষে লাভবান কৃষক মোস্তফা

সুবর্ণচরে সূর্যমুখী চাষে লাভবান কৃষক মোস্তফা

চলতি বছর ২০ একর লবণাক্ত জমিতে সূর্যমুখী চাষ করে সফল হয়েছেন। বর্তমানে তিনি একজন সফল কৃষক। নোয়াখালীতে সূর্যমুখী চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন কৃষক মো. মোস্তফা। বেতন কম হওয়ায় শিক্ষকতা ছেড়ে তিনি কৃষি কাজে লিপ্ত হয়েছেন।

মো. মোস্তফা সুবর্ণচর উপজেলার চর আমানউল্যা ইউনিয়নের কাটাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। বেতনের টাকায় সংসার না চললে চাকরি ছেরে কৃষি কাজে যুক্ত হন। এই এলাকায় মাটি লবণাক্ত হওয়ায় অন্যান্য ফসলের তেমন চাষ করে ফলন পাওয়া যায় নাহ। তাই তিনি লাভের আশায় সূর্যমুখী চাষ করেছেন। তার সফলতা দেখে অন্যান্য চাষিরা সূর্যমুখী চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে তার ২০ একর জমিতে সূর্যমুখীর বাম্পার ফলনের দেখা দিয়েছে।

চলতি বছর এই উপজেলায় ২১০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর আবাদ হয়েছে। তুলনামূলক লাভজনক হওয়ায় সূর্যমুখীর আবাদে উৎসাহী হয়ে উঠছেন উপজেলার কৃষকরা। কৃষক মো. মোস্তফা বলেন, আমি দীর্ঘদিন বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করেছি। আমার বাবাও কৃষিকাজ করতেন। তারপর আমি শিক্ষতা ছেড়ে ১৯৯১ সাল থেকে কৃষি কাজ শুরু করি। তাই কৃষি কাজের প্রতি আমার আলাদা টান ছিল। সূর্যমুখী চাষে খরচ কম। তাই আমি এ বছর ২০ একর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছি। এই ফসল চাষে আমার প্রতি একরে সার, বীজ ও চাষসহ প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে প্রতি একরে ১৫ মণ সূর্যমুখী উৎপাদন হয়। আশা করছি প্রতি একরে ৩০ হাজার টাকা লাভ করতে পারবো। বাজারে প্রতি মণ সূর্যমুখী বীজ ৩ হাজার টাকায় বিক্রি করা যায়।

কৃষক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এই অঞ্চলের মাটি লবণাক্ত হওয়ায় কৃষকরা অন্যান্য ফসল চাষে ফলন পেতো না। ফলে জমি গুলো পতিত পরে থাকত। তাই জমিতে ভালো ফলন হওয়ায় আমরা খুশি। কৃষি বিভাগ থেকে আমাদের সূর্যমুখী চাষ করার জন্য বীজ দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হারুনঅর রশিদ বলেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে তেল ফসলের উৎপাদন ৪০ শতাংশ বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনাবাদি জমিকে চাষের আওতায় আনা হচ্ছে। আমরা ১৪০০ কৃষককে বীজ এবং সার প্রদান করেছি। আশা করছি তারা লাভবান হতে পারবেন এবং দেশে তেল আমদানি পরিমাণ কমে যাবে। কৃষকরা তাদের জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছেন।

Advertisement