Homeসব খবরজেলার খবরসাম্মাম চাষে সফল গোপালগঞ্জের অবনি

সাম্মাম চাষে সফল গোপালগঞ্জের অবনি

সাম্মাম ফল খেতে খুবই মিষ্টি ও সুস্বাদু হওয়ায় এলাকার তার তাহিদা রয়েছে অনেক। গোপালগঞ্জের মাটিতে থাইল্যান্ডের বাঙ্গি জাতের ফল সাম্মাম পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করে সফল হয়েছেন সদর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের চাষি অবনি মন্ডল।  কৃষি অফিস থেকে সহযোগিতা ও পরামর্শে বাজার থেকে মাত্র ৫০০ টাকার বীজ কেনেন। পরে পঁচা কচুরিপানার মাধ্যমে বীজ থেকে চারা বের করে ১৫ দিনের মাথায় ঘেরের দুই পাড়ে ৭০টি গাছ রোপণ করেন তিনি। এরপর ৩০ দিনেই প্রতিটি গাছে ফল আসতে শুরু করে। ৪৫ দিনে প্রতিটি ফলের ওজন হয় দেড় থেকে ২ কেজি। প্রতিটি ফল কেজি দরে বিক্রি করছেন ১০০ থেকে ১২০ টাকা। এ পর্যন্ত ১৫ হাজার টাকার ফল বিক্রি করেছেন। আরও ৫ হাজার টাকার ফল বিক্রি করবেন বলে জানা যায়।

চাষি অবনি মন্ডল বলেন, কৃষি অফিস থেকে সহযোগিতা ও পরামর্শ নিয়ে ঘেরে চাষ করি। ৪৫ দিনেই প্রতিটি ফল কেজি দরে ১০০ থেকে ১২০ করে বিক্রি করেছি। খুবই লাভজনক একটা ফসল। আগামীতে আরও বেশি জমিতে চাষ করব। গোপালগঞ্জ কৃষি অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বলেন, অবনি মন্ডলকে সাম্মাম চাষে সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করেছি। খোঁজ-খবর নিয়েছি নিয়মিত। অবনি মন্ডল এ বছর পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করেই সফল হয়েছেন। আশা করি আগামীতে আরও বেশি জমিতে এই ফল চাষ করবেন তিনি।

গোপালগঞ্জ কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অরবিন্দ কুমার রায় বলেন, সাম্মাম হচ্ছে থাইল্যান্ডের বাঙ্গি ফলেরই একটি জাত। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে এটিকে রকমেলন, সুইটমেলন, মাস্কমেলন, হানি ডিউ নামে জানে। এটি অল্প দিনে স্বল্প খরচের খুব লাভজনক একটা ফসল। বাণিজ্যিকভাবে চাষে চাষিরা খুবই লাভবান হবেন বলে আমি মনে করি। আমি আশপাশের চাষিদের আহ্বান জানাব সাম্মাম চাষে আগ্রহী হওয়ার জন্য।

Advertisement