ব্যাট-বল হাতে ভুলে যাওয়ার মত একটি দিন কাটালেন সাকিব আল হাসান। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক এদিন গোল্ডেন ডাকের শিকার হয়েছেন। এর আগে বল হাতে ভালো শুরুর পরও ছন্দ ধরে রাখতে পারেননি।
তবে সাকিবের ম্লান পারফরম্যান্সের দিনে তার দল ঠিকই জয় পেয়েছে। আসরে এটি মোহামেডানের দ্বিতীয় জয়। মিরপুরে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রতিপক্ষ পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব প্রথমে ব্যাট করতে নামে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে পারটেক্সের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫৭ রান।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব। প্রথম ২ ওভারে ১৮ রান তুলেছিল পারটেক্স। তৃতীয় ওভারে নিজেকে বোলিংয়ে আনেন সাকিব। এসেই পেয়ে যান উইকেট।
পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বাঁহাতি ব্যাটসম্যান রিজবীকে এলবিডব্লিউ করেন বাঁহাতি স্পিনার। পরের পাঁচ বলে পারটেক্সের অধিনায়ক তাসামুল কোনো রান নিতে পারেননি। ফলে সাকিবের প্রথম ওভারটি যায় উইকেট মেডেন। তবে এরপরে ঘুরে দাঁড়ায় পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের দুই ব্যাটসম্যান আব্বাস মুসা এবং তাসামুল হক।
দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন আব্বাস মুসা। তবে মোহামেডানকে খেলায় ফেরান তাসকিন আহমেদ। ইনিংসের ১৫ তম ওভারে তুলে নেন জোড়া উইকেট। ৯৫ রানের পার্টনারশিপ ভাঙ্গেন তাসকিন। ৪৪ বলে পাঁচটি চার এবং ৫ টি ছক্কার সাহায্যে ৬৪ রান করে তাসকিনের বলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আব্বাস মুসা।
পরের বলে তুলে নেন নাজমুল হোসেন মিলনের উইকেট। দলীয় ১১৮ রানের মাথায় ধীমান ঘোষ এর উইকেট তুলে নেন আবু জাহেদ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ হারিয়ে ১৫৭ রান সংগ্রহ করে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব। অধিনায়ক তাসামুল হক অপরাজিত থাকেন ৫৯ রান করে। তাসকিন আহমেদ দুইটি এবং আবু জাহেদ ও সাকিব আল হাসান একটি করে উইকেট লাভ করেন।
১৫৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান পারভেজ হোসেন ইমন এবং মাহমুদুল হাসান। তবে জোড়া উইকেট নিয়ে হঠাৎ করেই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে তাসামুল হক। প্রথমে তুলে নেন তরুণ ব্যাটসম্যান পারভেজ হোসেন ইমনের উইকেট। এর পরের বলেই তুলে নেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের উইকেট।
১১ বলে দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে ১৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ইমন। আর ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম বলে আউট হন শাকিব আল হাসান। জোড়া উইকেট হারিয়ে শামছুর রহমানকে সাথে নিয়ে ৩৫ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন মাহমুদুল হাসান। ১৬ বলে তিনটি চারের সাহায্যে ১৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন শামসুর রহমান।
তবে দলীয় ৭৮ রানের মাথায় মাহমুদুল হাসানের উইকেট হারালে আবারো চাপে পড়ে মোহামেডান। তাসামুল হকের তৃতীয় শিকার হয়ে ২৬ বলে চারটি চার এবং দুটি ছক্কার সাহায্যে ৩৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মাহমুদুল হাসান।
তবে দলকে চাপমুক্ত করেন ইরফান শুকুর এবং নাদিফ চৌধুরি। এই দুইজনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ১৪ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ২৯ বলে ৫ টিচার এবং দুটি ছক্কা সাহায্যে ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন ইরফান শুক্কুর। এছাড়াও নাদিফ চৌধুরি করেন ২৭ রান।