Homeসব খবরজেলার খবরসরিষা বিপ্লব, বাজারদরে খুশি কৃষকরা

সরিষা বিপ্লব, বাজারদরে খুশি কৃষকরা

বর্তমানে হাটে, বাজারে সরিষা বেচা-কেনা চলছে। হাটে ভালো দরে সরিষা বিক্রি করতে পেরে খুশি চাষিরা। সরিষা চাষে বিপ্লব ঘটিয়েছেন বগুড়ার চাষিরা। সরিষার বাম্পার ফলনের পর এখন কৃষকের আঙিনায় চলছে সরিষা মাড়াই। স্বল্প খরচে বেশি লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা সারিষা চাষে ঝুঁকে পড়েছে।

হাটে সরিষা বিক্রি করতে আসা কৃষক আকমল বলেন, গত সপ্তাহে অপেক্ষাকৃত কম শুকানো সরিষা ২৮০০ টাকা এবং শুকানো সরিষা ৩০০০-৩২০০ টাকায় কেনা-বেচা হয়েছে। এবার সরিষা চাষে ভালো দাম পেয়ে আমরা খুশি

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক এনামুল হক বলেন, সারিষা চাষে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছেন কৃষকরা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। বিঘাতে প্রায় ৫ মন সরিষা উৎপাদন হয়ে থাকে। ১ বিঘা জমিতে সরিষা চাষে খরচ হয়ে থাকে ৫ হাজার টাকা।

শাজাহানপুর উপজেলার খোট্টাপাড়ার ইউনিয়নের কৃষক শাহাদৎ আলম বলেন, আমি এবছর ১ বিঘাতে ৪ মন সরিষা পেয়েছি। বিঘাতে উৎপাদন খরচ হয়েছে আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকা। গত মৌসমে আলু চাষ করে লোকসান গুনতে হয়েছে। তাই এবার সরিষা চাষ করেছি।

জেলার কৃষি বিভাগ জানায়, এক বিঘাতে আলু চাষে খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। স্বল্প খরচে বেশি লাভের কারনেই কৃষক সরিষা চাষ করছে। এ ছাড়া সরকার ৩ বছরের মধ্যে ভোজ্য তেলে স্বয়ং সম্পূর্ন হতে চায়। ইতোমধ্যে দেশের মানুষের মধ্যে সরিষার তেল খাওয়ার প্রবনতা বেড়েছে। আমদানি সেয়াবিন তেলের উপর সরকার নির্ভর করতে চায় না। সরিষার তেলের উপর নির্ভরশীল হলে সয়াবিন আমদানী কমে যাবে। এতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় রোধ হবে। সরকারের কৃষি বিভাগের এটি একটি বিরাট সাফল্য বলে মনে করেন জেলা কৃষি কর্মকর্তারা।

Advertisement