Homeসব খবরবিনোদন‘সরকারি অনুদানে ছবি বানানো অনেকেরই সততার অভাব রয়েছে’

‘সরকারি অনুদানে ছবি বানানো অনেকেরই সততার অভাব রয়েছে’

তারকা অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ। বর্তমানে তিনি অভিনয় করছেন ‘রাসেলের জন্য অপেক্ষা’ ছবিতে। নূর ই আলম পরিচালিত অনুদানের এই ছবি, বর্তমান ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হয় তাঁর সঙ্গে-

‘রাসেলের জন্য অপেক্ষা’ চলচ্চিত্রের শুটিং করছেন। এতে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?

অসাধারণ অভিজ্ঞতা নিয়ে ছবির কাজ করেছি। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বাড়িটিতে জীবনে বহুবার গিয়েছি। তবে শুটিংয়ের জন্য এবারই প্রথম যাওয়া হয়েছে। এ ছবিতে শেখ রাসেলকে পূর্ণভাবে তুলে ধরা হবে। এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম শেখ রাসেল সম্পর্কে জানতে পারবে। ছবিতে আমি অভিনয় করেছি কর্নেল নাজমুল চরিত্রে, যিনি শেখ রাসেলের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। ছবির বেশিরভাগ দৃশ্যের শুটিং শেষ হয়েছে। একটি গানের শুটিং বাকি আছে।

মুক্তির অপেক্ষায় আপনার অভিনীত ‘বিউটি সাকার্স’। ছবিটি নিয়ে কেমন আশাবাদী?

গল্প ও নির্মাণ- সবই ভালো। দীর্ঘ প্রস্তুতি ও নানা সংকট কাটিয়ে অনুদানের এ ছবিটি মাহমুদ দিদার বেশ যত্ন নিয়ে নির্মাণ করেছেন, যেজন্য এটি নিয়ে আশাবাদী হওয়াই যায়।

‘বিউটি সার্কাস’ নারীপ্রধান গল্পের ছবি হওয়ায় অভিনয়ের সুযোগ কতটা পেয়েছেন?

সব ছবি পুরুষপ্রধান হতে হবে তা আমি মনে করি না। পর্দায় উপস্থিতি কম থাকলেও আমার যদি অভিনয়ের সুযোগ থাকে, সেই চরিত্র আমি করতে ভালোবাসি। এই ছবিতে নেগেটিভ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি। এ ধরনের চরিত্রে আগে অভিনয় করিনি।

ইদানীং গল্পনির্ভর কাজ বেশি করছেন। এর পেছনে বিশেষ কোনো কারণ রয়েছে?

সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চাই বলেই নানা ধরনের ছবিতে অভিনয় করছি। এক সময় মনে হয়েছে আমি টাইপড হয়ে যাচ্ছি। গৎবাঁধা প্রেম-ভালোবাসার অভিনয় আর কত! একই নায়িকার সঙ্গে রিপিটেশন। ভার্সেটাইল কিছু পাচ্ছিলাম না। কিছু চরিত্রে কাজ করতে গিয়ে মনে হয়েছে, এরকম চরিত্র আগেও করেছি। ভালো কাজের ক্ষুধা আমাকে সব সময় তাড়িয়ে বেড়ায়। যেজন্য জীবনভিত্তিক, উপন্যাসনির্ভর ও গল্পপ্রধান কাজে মনোযোগী হয়েছি।

হাতে থাকা ছবির কী অবস্থা?

দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর ‘সুজন মাঝি’ ছবির কাজ ৮০ শতাংশ শেষ। নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুলের ‘জ্যাম’, ‘গাঙচিল’ ছবির সামান্য কিছু কাজ বাকি রয়েছে। অন্য ছবির কাজ প্রায় শেষ।

চলচ্চিত্রে এই সময় কী সংকট দেখছেন?

কয়েক বছর ধরে সিনেমা হলের সংকট চলছে। এটাই এখন বড় সংকট। এ ছাড়া অনুদানের ছবি নিয়ে একটু সংকট দেখছি। সরকার চলচ্চিত্র উন্নয়নের চেষ্টা করে যাচ্ছে। অনুদান নিয়ে সিনেমাও বানাচ্ছেন প্রযোজকরা। চলচ্চিত্রে সততার কোনো বিকল্প নেই। সরকারের কাছ থেকে অনুদান নিয়ে যাঁরা ছবি বানান, তাঁদের অনেকেরই সততার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। যাঁরা অনুদান পান তাঁদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব- সেই চলচ্চিত্রকে দর্শক উপযোগী করে তোলা। অনুদানের গল্প এত সুন্দর, কাস্টিংও ভালো, এরপরও কেন অনুদানের ছবি চলবে না? বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ক’টি অনুদানের ছবি হিট হয়েছে? এসব বিষয় নিয়ে ভাবার সময়ে এসেছে। সবারই দর্শক চাহিদার কথা মাথায় রেখে সময়োপযোগী চলচ্চিত্র নির্মাণ করা উচিত।

সূত্র: সমকাল।

Advertisement