Homeসব খবরজেলার খবরসবজি চাষে হানিফের বছরে আয় ৭ লাখ!

সবজি চাষে হানিফের বছরে আয় ৭ লাখ!

নিজের জমির পাশাপাশি অন্যের জমি লিজ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষাবাদ করেন। কৃষি কাজ করেই তিনি তার ভগ্যের পরিবর্তন করেছেন। বর্তমানে তিনি বছরে প্রায় ৭ লাখ টাকা আয় করেন। গোপালগঞ্জে ভাসমান বেড ও জমিতে নিরাপদ শাক সবজি চাষে সফল কৃষক হানিফ মল্লিক। তিনি দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত কৃষি কাজের সাথে জড়িত আছেন।

হানিফ মল্লিক গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নকড়িরচর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পৈতৃক সূত্রে পাওয়া নিজের ২৫ শতাংশ জমি ও আরো ২০৫ শতাংশ জমি লিজ নিয়ে সারাবছর শাক-সবজি, ধান ও পাট চাষ করেন। পরিশ্রমী এ কৃষক তার গ্রামের মানুষের কাছে অনুকরণীয় হয়ে উঠেছেন। তার দেখাদেখি অনেকে কৃষি কাজে যুক্ত হয়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন। পাশাপাশি ভাসমান বেডে তিনি সবজি, পেঁয়াজ, মসলা ও ফল চাষ করছেন।

কৃষক হানিফ মল্লিক বলেন, আমি ৩০ বছর যাবত কৃষি কাজ করছি। আমার নিজের ২৫ শতাংশ জমি ও ২০৫ শতাংশ জমি লিজ নিয়ে সারা বছর শাক, সবজি, ধান ও পাট উৎপাদন করছি। এছাড়াও ভাসমান বেডে নানা ধরনের শাক-সবজি, তরমুজ, পেঁয়াজ সহ বিভিন্ন ফসল আবাদ করে লাভবান হয়েছি। আমার উৎপাদিত সবজি নিরাপদ, সুস্বাদু হওয়ায় ক্রেতারা আমার সবজির একটু বেশি দামে কিনে নেয়। আমি নিজে চাষাবাদের পাশাপাশি কৃষকদের পতিত ও ভাসমান বেডে শাক-সবজি আবাদ সম্পর্কে হাতে কলমে শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করি। উৎপাদিত সবজি আমি নিজেই বাজারে নিয়ে বিক্রি করি।

নকড়িরচর গ্রামের কৃষক আব্দুল কুদ্দুস শেখ বলেন, হানিফ নিজেকে একজন আদর্শ কৃষক হিসেবে গড়ে তুলেছেন। তিনি কৃষির আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করেন। তাই তিনি সারা বছর অধিক ফসল উৎপাদন করতে পারেন। তাকে অনুসরণ করে আমিও লাভবান হয়েছি। আমার মতো আরো অনেকেই তাকে অনুসরন করে সফল হয়েছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার বলেন, হানিফ একজন আদর্শ কৃষক। তিনি কৃষি কাজ করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কৃষি কাজে তার ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে। এছাড়া তিনি তার উৎপাদিত ফসল নিজে বাজারে বিক্রি করেন। কৃষির উন্নয়নে পরিশ্রমী কৃষক হানিফ মল্লিককে আমরা সাধ্যমতো সহযোগিতা করে আসছি। অন্যান্য কৃষকরা তাকে অনুসরন করে সফল হয়েছেন।

Advertisement