Homeসব খবরজাতীয়সন্ধ্যার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১০ গাড়িতে আগুন, যান চলাচল...

সন্ধ্যার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১০ গাড়িতে আগুন, যান চলাচল বন্ধ

নারায়ণগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের অন্তত ১০টি গাড়িতে আগুন দিয়েছে হরতাল সমর্থনে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভকারী নেতাকর্মীরা। রবিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় শিমরাইলের মাদানীনগর মাদ্রাসার সামনে মহাসড়কে এই ঘটনা ঘটে। ১৪ ঘণ্টা ধরে এ মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে। সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে এ রিপোর্ট লেখার সময় মহাসড়কে সংঘর্ষ চলছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ‘বিকেল ৫টার পর থেকে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। পরে ঢাকামুখী যানবাহন চলাচল শুরু হয়। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা চলে গেলে আবারও বিক্ষোভকারীরা সড়ক অবরোধ করে। এতে করে ঢাকামুখী যানবাহন আটকে যায়। বিক্ষোভকারীরা যানবাহনকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আবারও ধাওয়া দিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে একটি বিআরটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। একেক করে ট্রাক, কভার্ডভ্যানসহ অন্তত ১০টি যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেয়।’

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক বলেন, ‘সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১০ থেকে ১২টি গাড়িতে আগুন দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। এছাড়াও অনেক গাড়ি ভাঙচুর করেছে। আহতের কোনও তথ্য নেই। হরতাল সমর্থনে এখনও মহাসড়কে বিক্ষোভ করছে হেফাজত ইসলামের নেতাকর্মীরা। বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাবসহ আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে।’

ভোর ৬টা থেকে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা মহাসড়কের শিমরাইল, সানারপাড় এলাকায় গাছের গুড়ি ফেলে, বালুর বস্তা রেখে, টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে ও লাঠিসোটা নিয়ে অবরোধ করে রাখে। এসময় কয়েকটি ট্রাক চলাচল করতে চাইলে হরতাল সমর্থনে বিক্ষোভকারীরা ঢিল ছুঁড়ে ট্রাকের গ্লাস ভাঙচুর করে। এসময় র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কয়েকবার মহাসড়ক থেকে তাদের সরিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়। সকাল ১১টায় বিক্ষোভকারী হেফাজত ইসলামের নেতাকর্মীদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিতে চাইলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় শাকিল (৩২) নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হন। দফায় দফায় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও টিয়ারশেলসহ গুলি ছুড়তে দেখা যায়।

এ বিষয়ে জানতে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলমের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সূত্র: দ্য ডেইলি স্টার।

Advertisement