Homeসব খবরক্রিকেটশ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ভারতকে হারাল পাকিস্তান

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ভারতকে হারাল পাকিস্তান

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে গ্রুপ পর্বে হারের মধুর প্রতিশোধ নিল পাকিস্তান। সেই ম্যাচে পাঁচ উইকেটের জয় পায় ভারত। আর এবার সুপার ফোরের গুরুত্বপূর্ণ ও নাটকীয় ম্যাচে ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে গ্রুপ পর্বের ব্যর্থতার চিত্রটা বদলে দিল বাবর বাহিনী। দুবাইয়ে এদিন কোহলির ঝড়ো ফিফটিতে চড়ে পাকিস্তানকে ১৮২ রানের লক্ষ্য দেয় ভারত। জবাব দিতে নেমে রিজওয়ানের ঝড়ো ফিফটিতে ৫ উইকেট হারালেও শেষ ওভারের নাটকে একটি বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছতে পারে পাকিস্তান। শেষ হাসি হাসে বাবর আজমরা!

এর আগে প্রথম তিন ওভারে ১৯ রান তোলে পাকিস্তান। চতুর্থ ওভারেই রবি বিষ্ণোইকে বল করতে ডাকেন রোহিত শর্মা। বল হাতে নিয়েই দলকে সাফল্য এনে দেন এই স্পিনার। ওভারের চতুর্থ বলেই রোহিত শর্মার হাতে ধরা পড়েন বাবর আজম। ফলে ২২ রানে প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। এবারের আসরটি কেন যেন ভালো কাটছে না এই ব্যাটারের। ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে এদিন ১০ বলে মাত্র ১৪ রান করে ফেরেন পাক দলনায়ক। এর আগে গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচে যথাক্রমে ১০ ও ৯ রানে আউট হন বাবর।

যাইহোক, বারর ফিরলে ব্যাট করতে নামেন ফখর জামান। রিজওয়ানের সঙ্গে জুটি বেঁধে যোগ করেন ৩০ বলে ৪১ রান। তবে এই জুটিকে বেশি বাড়তে দেননি চাহাল। ৯ম ওভারের তৃতীয় বলে চার মেরে হাত খোলার ইঙ্গিৎ দিলেও পরের বলেই সীমানায় ধরা পড়েন কোহলির হাতে। ফেরার আগে দুই চারে ১৫ রান আসে ১৮ বল খেলা এই বাঁহাতির ব্যাট থেকে। যার ফলে দলীয় ৬৩ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরপর রিজওয়ান-নওয়াজ জুটি মাত্র ৪১ বলে যোগ করে ৭৩ রান। যাতে জয়ের কাছাকাছি চলে যায় পাকিস্তান। তবে এই দুজনের বিদায়ে চাপে পড়ে দলটি।

তবে ১১ বলে ১৪ রানের ইনিংস খেলে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন খুশদিল শাহ। এর আগে অবশ্য মাত্র ৮ বলে দুই চার ও এক ছয়ে ১৬ রান করে শেষ ওভারের চতুর্থ বলে আউট হয়ে ম্যাচে উত্তেজনা ছড়ান আসিফ আলী। কারণ ওই ওভারেই পাকিস্তানের দরকার ছিল মায়ত ৭টি রান। আর্শদ্বীপের করা শ্বাসরুদ্ধকর ওই ওভারের প্রথম বলে ১ রান নেয়ার পর দ্বিতীয় বলে চার হাঁকান আসিফ আলী। পরের বলটি ডট দেন ভারতীয় পেসার। চতুর্থ বলে আসিফ লেগ বিফোর হয়ে ফিরলে উত্তেজনা ছড়ায় ম্যাচ। তবে শেষ বলে প্রয়োজনীয় ২ রান নিয়ে ম্যাচ শেষ করেন ক্রিজে নামা ইফতেখার।

এদিন ক্যারিয়ার সেরা ৪২ রান করে আউট হন মোহাম্মদ নওয়াজ। মাত্র ২০ বলের এই ইনিংসে ছিল চারটি চারের সঙ্গে দুটি ছয়ের মার।অন্যদিকে, টানা দ্বিতীয় ফিফটি হাঁকিয়ে একপ্রান্ত আগলে রাখা অপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ফেরেন ৭১ রানের ইনিংস খেলে। তার এই ইনিংসেও ছিল নওয়াজের সমান বাউণ্ডারির মার। ম্যাচ সেরাও নির্বাচিত হন এই ব্যাটার।

Advertisement