Homeসব খবরক্রিকেটশান্ত-তামিমদের ব্যাটিংয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু

শান্ত-তামিমদের ব্যাটিংয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু

শ্রীলঙ্কার মাটিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে ড্র করায় দারুন সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। খালেদ মাহমুদ সুজন এর মত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের পারফরমেঞ্চে দারুণ খুশি হয়েছেন নির্বাচকরা।

বিশেষ করে নাজমুল হোসেন শান্ত এবং তামিম ইকবালের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তিনি। প্রধান নির্বাচকের এমতে শুধু শান্ত এবং তামিম ইকবালই নয় পুরো ম্যাচে ব্যাটসম্যানরা অনেক ভালো ব্যাটিং করেছে।

গতকাল সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, ‘এ টেস্টে অবশ্যই ব্যাটসম্যানরা ভাল ব্যাটিং করেছে। এখন এই ধারাবাহিকতা যেন ধরে রাখতে পারে এবং উন্নতির এই ধারাটা যেন বজায় থাকে। সেটাই হলো মূল কথা।’

দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে সুযোগ পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারছিলেননা টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে তার উপর অনেক আস্থা ছিল প্রধান কোচ এবং নির্বাচকদের।

সেই আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট ম্যাচে। প্রথম ইনিংসে শান্ত করেছিলেন ১৬৩ রান। আর নাজমুল হোসেন শান্ত রানের ফেরায় দারুণ খুশি প্রধান নির্বাচক।

এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘অবশ্যই ভাল লাগছে। শান্তর ওপরে আমাদের সিলেকশন প্যানেলের যথেষ্ঠ কনফিডেন্স ছিল। আমরা চেয়েছিলাম ছেলেটাকে স্টাবলিস্ট করার। কারণ টেকনিক্যালি সাউন্ড আছে। সে হিসেবে শান্ত সুযোগ পেয়েছে। কিছু ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার সে সামনে আগানোর পথও খুঁজে পেয়েছে।’

এদিকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট ম্যাচে সামনে থেকে ব্যাটসম্যানদের নেতৃত্ব দিয়েছেন তামিম ইকবাল। দুই ইনিংসেই তিনি তুলে নিয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় ইনিংসে ছিলেন তিনি অপরাজিত। প্রথম ইনিংসে করেন ১০১ বলে ৯০ রান।

আর দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি বলেন বিশ্ব রেকর্ড। শেষ পর্যন্ত ৯৮ বলে ৭৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন তামিম ইকবাল। তাইতো সামনে থেকে তামিম ইকবালের সাহসিকতার ব্যাটিংয়ে দারুণ প্রশংসা করেছেন প্রধান নির্বাচক।

তামিমকে নিয়ে নান্নু বলেন, ‘তামিম তো ওয়ান অফ দ্য বেস্ট প্লেয়ার। ওর টিমের লিডিংয়ে থাকলে সব সময় ইয়াং প্লেয়াররা অনুপ্রাণিত হয়। উজ্জীবিত হয়। সাহস পায়। যেহেতু তামিম সামনে থেকে লিড দিতে পেরেছে, তাই অন্যরাও সাহস পেয়েছে। উদ্যমী হয়েছে ভাল খেলার। বাকিরা তাকে ফলো করে যেতে পেরেছে।’

‘মুমিনুলেরও তো দেশের বাইরে একটু সমস্যা হচ্ছিল। আস্তে আস্তে ওয়েল ম্যাচিউরড হয়েছে। সেন্সেবল এন্ড ডিপেন্ডেবল ব্যাটিং করেছে। যে কোনো কারণে হোক, সাইফ ক্লিক করেনি। মাত্র ৩ নম্বর টেস্ট খেলতেছে। ইটস টু আর্লি টু কমেন্ট। ওকে এখনই চূড়ান্ত মূল্যায়ন করলে হবে না। টেস্ট ক্রিকেটে একটা ছেলে ১০-১২টা ম্যাচ না খেললে কখনো মূল্যায়ন করা যায় না। মুশফিকতো আছেই। আমাদের বেস্ট পারফরমার।’

Advertisement