Homeসব খবরজেলার খবরশাক সবজি চাষে লাভবান কৃষক আব্দুল জলিল

শাক সবজি চাষে লাভবান কৃষক আব্দুল জলিল

বর্ষায় পানিতে নদীর দুইপাশ ভরে উঠে। আর শীতের সময় পানি কমে যায়। ভেসে উঠে চর। সেই চরেই বিভিন্ন ধরনের মৌসুমি সবজি চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন কৃষক আব্দুল জলিল। চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার টঙ্কাবতীর চরে সবজি চাষ করে লাভবান আব্দুল জলিল।

কৃষক আব্দুল জলিল আমিরাবাদ ইউনিয়নের রাজঘাটা এলাকার বাসিন্দা। তিনি এবছর টঙ্কাবতী নদীর চরে লালশাক ও পালংশাক চাষ করেছেন। বর্ষার সময় চর পানিতে ডুবে থাকার কারণে কোনো চাষাবাদ করতে পারেন না। শীতের সময় পানি শুকিয়ে চরে জেগে উঠলে সেখানে বিভিন্ন শাক-সবজি চাষ করেন। আর বর্ষার সময় পাহাড়ি ঢলের কারণে চরে পলি জমে। শাক-সবজি চাষ করে আব্দুল জলিল লাভবান হতে পেরেছেন। তাই কৃষকরা শাক-সবজি চাষ করে বেশি ফলন পেয়ে থাকেন।

লোহাগাড়ায় টঙ্কাবতী নদী আমিরাবাদ ও চরম্বা ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে। এই দুই ইউনিয়নের কৃষকরা চরে বাদাম, ঢ্যাঁড়স, মরিচ, ধনেপাতা, শর্ষে, মুলা, শিম, টমেটো, বেগুন, বরবটি, লাউ, কুমড়া, বাঁধাকপি, ফুলকপি, আলুসহ নানা জাতের শাকসবজির চাষ করেছেন।

কৃষক আব্দুল জলিল বলেন, আমি এই চরে প্রায় ২৭ বছর যাবত বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি চাষ করছি। এবছর ৪০ শতাংশ জায়গার ২০ শতাংশ লালশাক ও ২০ শতাংশ জায়গায় পালংশাক চাষ করছি। শাকের ভালো ফলন পেয়েছি। বর্ষায় পাহাড়ের ঢলের পানিতে চরে পলি জামায় কম পরিচর্যাতেই বেশি ফলন পাওয়া যায়। অন্যান্য ফসলের তুলনায় শাক-সবজি চাষে লাভ বেশি। আশা করছি বাকি আরো যা শাক আছে তা বিক্রি করেও লাভবান হতে পারবো। ইতোমধ্যে শাক বিক্রি করে ৩০ হাজার টাকা আয় করেছি।

বটতলী কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ তারেক বলেন, আমি প্রতি সপ্তাহে টঙ্কাবতীর চর থেকে অন্তত এক লাখ টাকার সবজি কিনে নিয়ে আসি। চরের সবজি খেতে খুব সুস্বাদু। চর থেকে সবজি কিনে এনে বিক্রি করে আমার বেশ লাভ হয়। তাই এই সবজির চাহিদাও অনেক।

লোহাগাড়া উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, চলতি বছর লোহাগড়ায় ১ হাজার ৩৬০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। তবে লক্ষ্যমাত্রা থেকে আরো ২ হেক্টর বেশি জমিতে চাষ করা হয়েছে।

Advertisement