Homeসব খবরআন্তর্জাতিকরোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি মিয়ানমার সেনাপ্রধানের

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি মিয়ানমার সেনাপ্রধানের

অবশেষে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে মুখ খুললেন মিয়ানমারের সেনা প্রধান জেনারেল মিং অং লাইং। বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মিয়ানমারের সেনা প্রধান জেনারেল মিং অং লাইং। একইসঙ্গে জরুরি অবস্থা শেষে নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তরেরও আশ্বাস দেন তিনি। গণতন্ত্র হরণের প্রতিবাদে ক্ষোভে ফুসছে গোটা মিয়ানমার। নেপিদো থেকে ইয়াঙ্গুন। মান্দালে থেকে রাখাইন, লাঠিচার্জ-জলকামান সবকিছু উপেক্ষা করেই চলছে এমন প্রতিবাদ। সু চিসহ রাজবন্দিদের মুক্তির জন্য দাবি।

এনএলডির সংসদ সদস্য মি উইন মিন্ত বলেন, ‘এবার সেনা শাসনের বিরুদ্ধে জনগনের সাথে রাজপথে নেমেছি। কোনো বাধাই আমাদের পিছু হটাতে পারবে না।’ সেনা অভ্যুত্থানের ৮ দিন পর সোমবার রাতে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন জেনারেল মিং অং লাইং। প্রতিশ্রুতি দেন এক বছর পর নতুন নির্বাচনের। জেনারেল মিং অং লাইং বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন, সংসদ এবং প্রেসিডেন্টকে ভোট কারচুপির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলাম। শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত তাতমাদাও সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলো। কিন্ত কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হওয়ায় জরুরি অবস্থা জারি ছাড়া কোনো উপায় ছিলো না আমাদের সামনে। জরুরি অবস্থা শেষ হলে ২০০৮ এর সংবিধান অনুযায়ী আমরা নতুন নির্বাচন দেব এবং জয়ী দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবো।’

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াও এগিয়ে নেয়ারও আশ্বাস দেন মিয়ানমারের সেনা প্রধান জেনারেল মিং অং লাইং। বলেন, ‘বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এটি মূলত দুদেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক চুক্তি এবং আমাদের নীতির আলোকেই হবে।’ এদিকে মিয়ানমারে গণবিক্ষোভে সমর্থনের কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র হরণের প্রতিবাদে বার্মিজ জনগনের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে সমর্থন আছে বাইডেন সরকারের। জনসমাবেশের ওপর জান্তা সরকারের নিষেধাজ্ঞা আরোপে আমরা গভীর উদ্বিগ্ন।’ সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা ছাড়ার দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এছাড়া থাইল্যান্ডে বিক্ষোভ করেন মিয়ানমারের প্রবাসী নাগরিকরা।

Advertisement