Homeসব খবরজাতীয়‘রোহিঙ্গারা নিরাপদে থাকলেও উপকূলবাসী নিরাপদে নেই’

‘রোহিঙ্গারা নিরাপদে থাকলেও উপকূলবাসী নিরাপদে নেই’

স্থায়ী ও টেকসই বেড়িবাঁধের দাবিতে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধে কালিগঞ্জে ধর্মঘট অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৮ মে) সকাল ১১টার দিকে নারী উন্নয়ন সংগঠন বিন্দুর উদ্যোগে উপজেলার হাড়দ্দহা এলাকায় এ ধর্মঘট অনুষ্ঠিত হয়। একশান এইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় এ কর্মসূচিতে শত শত যুব নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় সংগঠনের সভাপতি জাকিয়া রাজিয়া বলেন, আমরা জনসম্মুখে জানতে চাই, কেন এত ক্ষয়-ক্ষতির পরও আমরা সমাধান পাব না। আর কত ক্ষতি হলে আমাদের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপকূলবাসী আর ত্রাণ চায় না তারা চায় টেকসই বেড়িবাঁধ। রোহিঙ্গারা নিরাপদে থাকলেও উপকূলবাসী নিরাপদে নেই। সরকারকে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। মানুষের বেঁচে থাকার সুনিশ্চিত অধিকার দিতে হবে।

সংগঠনের পরিচালক জান্নাতুল মাওয়া আরো বলেন, জলবায়ু যে পরিমাণে দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে তার জন্য আমাদের সকল পরিকল্পনা হতে হবে সুদূরপ্রসারী। আগে কালিগঞ্জবাসী এমন দুর্যোগ দেখেনি এবার দেখল। আগামীতে তা হবে আরো ভয়াবহ। আসলে জলবায়ু পরিবর্তন এখন সম্পূর্ণ মানুষের হাতে। তাই কার্বন উৎপাদন কমাতে হবে বিশ্ববাসীর। তা না হলে পুরো জেলা ডুবতে থাকবে পানির নিচে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশ।

রোহিঙ্গা স্থানীয় নাম রুয়াইংগা বা ঐতিহাসিকভাবে আরাকানী ভারতীয়ও বলা হয়ে থাকে। রোহিঙ্গা হলো পশ্চিম মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের একটি রাষ্ট্রবিহীন ইন্দো-আর্য জনগোষ্ঠী। ২০১৬-১৭ মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতনের পূর্বে অনুমানিক ১ মিলিয়ন রোহিঙ্গা মায়ানমারে বসবাস করত। অধিকাংশ রোহিঙ্গা ইসলাম ধর্মের অনুসারি যদিও কিছু সংখ্যক হিন্দু ধর্মের অনুসারিও রয়েছে। ২০১৩ সালে জাতিসংঘ রোহিঙ্গাদের বিশ্বের অন্যতম নিগৃহীত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী হিসেবে উল্লেখ করেছে। ১৯৮২ সালের বার্মিজ নাগরিকত্ব আইন অনুসারে তাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করা হয়েছে।

Advertisement