স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে নির্যাতন করা হয়নি। তাকে আটকিয়ে রাখার বিষয়টিও নাকচ করেন তিনি। মঙ্গলবার শেরে বাংলা নগরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, শারীরিকভাবে তাকে নির্যাতন করা হয়নি। একজন সিনিয়র অফিসার ও দুই জন নারী কর্মকর্তা ছিলেন সেখানে। যখন স্টেট সিক্রেটের বিষয় আসছে তখন তারা পুলিশ ডেকেছে। তারপর এই বিষয়গুলো ঘটেছে। যা অনাকাঙ্ক্ষিত।
তিনি আরো বলেন, সাংবাদিক রোজিনা দুর্নীতি নিয়ে যেসব প্রতিবেদন করেছেন তার জন্য এই ঘটনা ঘটেনি। তিনি ওখানে গিয়ে ছবি তুলছেন, ফাইল নিয়ে যাচ্ছেন, যেগুলো রাষ্ট্রীয় সিক্রেট ডকুমেন্ট। এটা টিকা সংক্রান্ত। এগুলো স্টেট লেভেলে আমরা কমিটমেন্ট দিয়েছি যে কোথাও পাবলিশ করবো না। কিন্তু কেউ যদি এগুলো নেয় তাহলে আমরা কী করতে পারি?
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি যতটুকু জানি, ওই সময়ে কেউ ছিল না। কিন্তু সেখানে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ নথি রাখা ছিল। খালি রুমের মধ্যে উনি ঢুকেছেন। নাকি কেউ তাকে ট্র্যাপে ফেলেছে সেটা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। তবে মন্ত্রণালয় থেকে কেউ যদি অন্যায় করে থাকে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাংবাদিক রোজিনাকে একজন অতিরিক্ত সচিব গলা চেপে ধরেছেন এই বিষয়ে জাহিদ মালেক বলেন, আমরা এই বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো। তিনি সিনিয়র অফিসার। ওই অফিসার বলেছেন, আমি যখন তাকে আটকাতে চেষ্টা করেছি তখন তিনিই খামচি দিয়েছেন, থাপ্পড় দিয়েছেন। এরপর তো আধাঘণ্টার মধ্যে পুলিশ চলে আসছে। এটাই আমি জেনেছি। তবে কোনো নির্দোষ লোক সাজা পাক এটা আমরা চাই না।