Homeসব খবরজেলার খবররাজা ও রাণী জাতের টমেটো চাষে লাভবান কৃষকরা!

রাজা ও রাণী জাতের টমেটো চাষে লাভবান কৃষকরা!

চুনারুঘাট উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি অফিসার ফারুক আহমেদ এই দুই জাতের চারা উৎপাদন করছেন। তিনি নিজে চাষের পাশাপাশি অন্যদেরও চাষ করতে উৎসহিত করছেন। এতে বেশি ফলন ও ভালো বাজারদরে বিক্রি করে লাভবান চাষিরা। হবিগঞ্জে রাজা ও রাণী জাতের টমেটো চাষে লাভবান কৃষকরা।

চারা উৎপাদনকারি কৃষি অফিসার ফারুক আহমেদ গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি চাকরির পাশাপাশি বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করতে প্রায় ৪৫ শতক জমিতে নার্সারি গড়ে তুলেছেন। সেখানেই তিনি রাজা ও রাণী এই দুই জাতের টমেটোর চারা উৎপাদন করছেন। তার কাছ থেকে জেলার শত শত কৃষক চারা কিনে চাষ করছেন। এতে কৃষকরা কম খরচে বেশি ফলন ও ভালো বাজারদরে বিক্রি করে লাভবান হতে পারছেন।

নার্সারি মালিক ফারুক আহমেদ বলেন, এই জাতের চারায় খুব দ্রুত ফলন আসে। চারা রোপনের মাত্র ১ মাসের মধ্যেই গাছে টমেটো আসা শুরু করে। আর একেকটি গাছে প্রায় ১২ কেজি করে টমেটো উৎপাদন করা সম্ভব।জমি প্রস্তুত করে চাষে চারা রোপনের পর সময়মতো আগাছা পরিষ্কার ও পানি দিলেই ভালো ফলন পাওয়া যায়। আমি এখন পর্যন্ত চারা বিক্রি করে প্রায় ২ লাখ টাকা আয় করেছি। চলতি এবছর ১ একর জমিতে চাষ করেছি। আশা করছি লাভবান হবো। অবিক্রিত চারাগুলো আমি নিজে চাষ করি।

আজমিরীগঞ্জের কৃষক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমি ফারুক আহমেদের নার্সারি থেকে টমেটো চারা নিয়ে জমিতে রোপণ করি। চারা রোপণের প্রায় মাসখানেকের মধ্যেই গাছে টমেটো আসা শুরু করে। এই জাতের টামেটার ভালো ফলন হয়। বাজারদর ভালো থাকলে আশা করি লাভবান হবো।

নবীগঞ্জের ইমামবাড়ির মাওলানা মশিউর রহমান বলেন, আমিসহ অন্যান্য আরো কৃষকরা নার্সারিটি থেকে উন্নতজাতের টমেটো চারা সংগ্রহ করেছেন, তারাও এ জাতের টমেটো চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।

হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ মোঃ জালাল উদ্দিন বলেন, ফারুক আহমেদ আমাদের গর্ব। তিনি চাকরি দায়িত্ব শেষ করে বাড়ি গিয়ে সবজি চাষে সময় কাটান। এছাড়াও তিনি চারাও উৎপাদন করেন। যা অন্যান্য কৃষকরা তার কাছ থেকে কিনে চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. তমিজ উদ্দিন খান বলেন, ফারুক আহমেদ একজন সফল চারা উৎপাদনকারী। তার কাছ থেকে চারা কিনে কৃষকরাও লাভবান হচ্ছেন। সবজির চারা উৎপাদন করা অনেক কঠিন। তিনি তা করে দেখিয়েছেন। তিনি নার্সারি করে লাভবান হয়েছেন।

Advertisement