Homeসব খবরজেলার খবররাঙামাটিতে আগাম আনারস চাষ

রাঙামাটিতে আগাম আনারস চাষ

গত বছর আগাম আনারসের দাম ভালো পাওয়ায় এবছর আরো বেশি জমিতে আনরসের চাষ করেছেন। তবে আনারসের ব্যাপক চাষ হলেও ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারছেন না চাষিরা। অতিরিক্ত শীত ও বাজারে আনারসের চাহিদা কম থাকায় দাম কমেছে বলে জানায় কুষি বিভাগ। রাঙামাটিতে ব্যাপক ভাবে আগাম আনারসের চাষ হয়েছে।

তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশাকে উপেক্ষা করে রাঙামাটি সদর উপজেলার বনরূপা সমতাঘাটে যান্ত্রিক নৌকা বোঝাই করে দূর-দূরান্ত থেকে কাঁচা-পাকা আনারস নিয়ে আসেন কৃষকরা। ভোর থেকেই ক্রেতা বিক্রেতার আনাগোনায় মুখরিত হয়ে উঠে ভাসমান এই ঘাট। সেখান থেকেই আনারস দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় সরবরাহ হয়ে থাকে। এই ঘাটে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পাইকাররা আনারস কিনতে আসেন।

চলতি বছর জেলায় ২ হাজার ২৪৫ হেক্টর জমিতে আনারস চাষ হয়েছে। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৫৬ হাজার মেট্রিক টন। সাধারনত আনারসের মৌসুম হলো এপ্রিল থেকে জুলাই মাস। তবে কৃষকরা বেশি লাভের আশায় আগাম আনারস চাষ করে থাকেন। গত বছর আগাম আনারসের দাম ভালো থাকলেও এবছর দাম কম।

চাষিরা বলেন, বেশি লাভের আশায় বেশি পরিশ্রম ও খরচ করে আগাম আনারস চাষ করেছি। এখন বাজারে আনারসের ন্যায্য দাম পাচ্ছি না। গত বছর প্রতি পিস আনারস ১৫-১৮ টাকায় বিক্রি করতে পেরেছি।আনারস চাষে খরচ বেড়েছে। এই দামে বিক্রি করে আনারস চাষের খরচও উঠাতে পারছি না। এবছর ১০-১৩ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।  ব্যবসায়ীদের মতে, শীত বেশি হওয়ার কারণে বাজারে আনারসের চাহিদা কম তাই দামও কম।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক তপন কুমার পাল বলেন, দিন দিন শীতের তিব্রতা বাড়ছে। শীত বাড়ার কারণে আনারসের চাহিদা কমে গেছে।তবে শৈতপ্রবাহ শেষ হয়ে একটু গরম পড়লে আনারসের দাম বাড়বে বলে আশা করছি। তখন কৃষকরা আনারসের ভাল দাম পাবে।

Advertisement