Homeসব খবরজেলার খবররমজানেই বাগানের আম বিক্রির আশা মোস্তফার!

রমজানেই বাগানের আম বিক্রির আশা মোস্তফার!

সব বাগান মালিক ও চাষিরা ভালো ফলন পাওয়ার আশায় মুকুল রক্ষা ও গাছের পরিচর্যা করছেন। তবে চারিদিকে মুকুল আসায় চাষিরা আমের অপেক্ষায় থাকলেও গোলাম মোস্তাফা তার বাগানের বারোমাসি কাটিমন জাতের আম বিক্রির পরিকল্পনা করছেন। আসন্ন রমজানেই বাজারে আমের সরবরাহ করতে পারবেন বলে জানান তিনি। দেশে আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের গাছে সোনালী আমের মুকুলে ছেয়ে গেছে।

বাগানি গোলাম মোস্তাফা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের আতাহির এলাকার নয়ানগরের বাসিন্দা। তিনি তার ১৫ বিঘা জমির বাগানে সারি সারি ভাবে প্রায় ২ হাজার কাটিমন জাতের আম গাছ লাগিয়েছেন।এটি বারোমাসি জাতের আম হওয়ায় মৌসুমী আমের আগেই চলে আসে। আগামী ২০ দিন পর পরিপক্ক আম বিক্রি শুরু করবেন তিনি। তার বাগানের প্রায় প্রতিটি গাছের ডালে ডালে ঝুলছে আম।

গোলাম মোস্তফা বলেন, মৌসুমী আম চাষে লোকসান গোনার পর কাটিমন জাতের আমের বাগান করেছি। আমার বাগানে প্রায় ২ হাজার গাছ রয়েছে। এই জাতের আম বছরের যেকোনো সময় উৎপাদন করা সম্ভব। অন্যান্য আমের তুলনায় এই জাতের আমের দাম বেশি থাকে। গত বছর ৪০০-৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। আমার বাগনের প্রায় সবগুলো গাছেই আম ধরেছে। আশা করছি গত বছরের মতো এবছরও ৪০০-৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারবো। আগামী ২০ দিন পর এই আম বাজারে বিক্রি করতে পারবো।

শিবগঞ্জ ম্যাংগো প্রডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল খান শামীম বলেন, কাটিমন জাতের আমটি একটি নাবি জাতের আম। গাছের ভালোভাবে পরিচর্যা করলে বছরে তিনবার ফল ধরানো সম্ভব হয়। তারাও রমজানে বিক্রি করবেন। দিন দিন এ জাতের আমের চাষির সংখ্যা বাড়ছে। জেলায় আরো কিছু চাষি আছেন কাটিমন চাষ করেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পলাশ সরকার বলেন, কাটিমন একটি বারোমাসি আমের জাত। এই গাছ থেকে বছরে প্রায় ৩ বার আম ধরানো সম্ভব। বর্তমানে যারা এই জাতের আমের চাষ করছেন। তাদের গাছে আমের মুকুল ও আম ঝুঁলছে। সিজনাল আম চাষ থেকে অনকে চাষি কাটিমন চাষে ঝুঁকছেন। বাগানিরা আগামী রমজান মাসে এই আম বাজারে বিক্রি করতে পারবেন।

Advertisement