Homeসব খবরজেলার খবররঙিন ফুলকপি চাষে দ্বিগুণ লাভবান কৃষক আরশেদ!

রঙিন ফুলকপি চাষে দ্বিগুণ লাভবান কৃষক আরশেদ!

টাঙ্গাইলে হলুদ ফুলকপি চাষে সফল হয়েছেন কৃষক আরশেদ আলী। তিনি প্রথমবারের মতো ফুলকপি চাষ করে সফল হয়েছেন। তার এই সফলতা এলাকা জুড়ে সাড়া ফেলেছে। সারাদেশে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে রঙিন ফুলকপির চাষ।

আরশেদ আলী টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় ছাব্বিশা এলাকায় বাসিন্দা। তিনি তার বাড়ির পাশের জমিতে অন্যান্য সবজির পাশাপাশি পারিক্ষামূলকভাবে হলুদ ফুলকপির চাষ করেছেন। এই ফুলকপির চাষ সাদা ফুলকপির মতোই। কোনো প্রকার রাসায়নিক ব্যবহার না করে শুধু মাত্র জৈব সার ব্যবহার করে তিনি রঙিন এই ফুলকপি চাষ করেছেন। তিনি রঙিন ফুলকপি চাষ করায় এলাকায় বেশ সাড়া পড়ে যায়। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগিতায় তিনি ফুলকপি চাষ সফল হন বলে জানান। তাই প্রতিদিন অনেক মানুষ তার জমিতে হলুদ ফুলকপি দেখতে ভীড় করে।

কৃষক আরশেদ আলী বলেন, আমি আমার বাড়ির আঙিনার পাশের ৩৩ শতাংশ জমিতে নানা ধরনের সবজি চাষ করতাম। এবছর কৃষি বিভাগের পরামর্শে ও তাদের দেওয়া ৪০০ রঙিন ফুলকপির চারা এই জমির অর্ধেকে রোপন করি। এই ফুলকপির চাষ সাদা ফুলকপির মতোই। আমি রঙিন ফুলকপি চাষে কোনো প্রকার রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করিনি। শুধু মাত্র জৈব সার প্রয়োগে রঙিন ফুলকপি চাষ করেছি। তাই এর পুষ্টিগুণে কোনো সমস্যা হয়নি। আর বাজারে দ্বিগুণ লাভে বিক্রি করতে পারি।

তিনি আরও বলেন, কৃষি বিভাগ আমাকে চারা, জৈব সার, পোকা দমন কীট’নাশকসহ সব ধরনের সহযোগিতা করেছে। চলতি বছর ১৫ শতক জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ করেছি। জমিতে ৪ রঙের ফুলকপি রয়েছে। চারা রোপনের ৭৫-৮০ দিনের মধ্যে ফুলকপি বাজারজাত করার উপযুগি হয়। জমি থেকেই অনেকে ফুলকপি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আর কিছু ফুলকপি বাজারে নিয়ে গেলে সাথে সাথে বিক্রি হয়ে যায়। জমিতে রঙিন ফুলকপি দেখতে প্রতিদিন অনেক মানুষ ভীড় করছেন। আবার অনেকে চাষের জন্য পরামর্শ নিচ্ছেন।

রঙিন ফুলকপি ক্রেতা রফিকুল ইসলাম রবি ও আব্দুর রহিম মিঞা বলেন, আমি রঙিন ফুলকপির খবর পেয়ে সাথে সাথে জমিতে গিয়ে ৫০ টাকা দরে কিনে নিয়ে আসি।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ড. হুমায়ূন কবীর বলেন, আমরা আরশেদ আলী নামে এক কৃষককে প্রথমবারের মতো কৃষি অফিস থেকে ৪০০ ফুলকপির চারা, জৈব সার, পোকারোধক কীটনাশক ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা দেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে ৪ রঙের ফুলকপি চাষ করা হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আহসানুল বাসার বলেন, রঙিন ফুলকপিতে প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে। এবছর কৃষকরা লাভবান হতে পারলে আগামীতে বাণিজ্যিকভাবে রঙিন ফুলকপির চাষ হবে। এই জেলার ১২ উপজেলায় পরীক্ষামূলক রঙিন ফুলকপি চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তার মধ্যেভূঞাপুর উপজেলায় সফলতা পাওয়া গেছে।

Advertisement