Homeসব খবরক্রিকেটযে সমীকরণ মিলিয়ে সেমিফাইনালে উঠতে পারে বাংলাদেশ

যে সমীকরণ মিলিয়ে সেমিফাইনালে উঠতে পারে বাংলাদেশ

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয় দিয়ে বিশ্বকাপে যাত্রা করে বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে প্রোটিয়াদের কাছে বড় ব্যবধানে হারলেও নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়ের কাছে জয় পেয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। এতেই সেমিফাইনালের দৌঁড়ে টিকে রয়েছে বাংলাদেশ।

টি-টোয়েন্ট বিশ্বকাপে তিনটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে দুটি ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালের পথে নিজেদের এগিয়ে রেখেছেন সাকিব আল হাসানরা। এখনো দুটি ম্যাচ বাকি রয়েছে সুপার টুয়েলভ পর্বে। এরপরই সেমিফাইনাল। সে পথে যাত্রা করতে কিছু সমীকরণ মেলাতে হবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।

৩ ম্যাচ শেষে ৪ পয়েন্ট নিয়ে সুপার টুয়েলভের গ্রুপ দুইয়ের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচ খেলে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে ভারত। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৩ নম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা। এছাড়া পাকিস্তান রয়েছে ৫ নম্বরে এবং নেদারল্যান্ডস রয়েছে টেবিলের তলানিতে।

এই অবস্থায় বাংলাদেশের বাকি দুটি ম্যাচ আগামী বুধবার (২ নভেম্বর) ভারতের বিরুদ্ধে এবং শেষ ম্যাচ আগামী রবিবার (৬ নভেম্বর) পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলবে সাকিববাহিনী। সেমিফাইনালে জায়গা করে নিতে হলে ভারত ও পাকিস্তানকে হারাতে হবে সাকিব বাহিনীকে। এই দুটি ম্যাচ জিতলে বাংলাদেশের পয়েন্ট হবে ৮। তাহলে সেমিফাইনালের রাস্তা পরিষ্কার হবে টাইগারদের।

এই সমীকরণে ভারত বাংলাদেশের কাছে হারার পর বাকি সবগুলো ম্যাচ জিততে হবে। এতে করে তাদের পয়েন্টও হবে সর্বোচ্চ ৮। এ ক্ষেত্রে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং জিম্বাবুয়ে দুই দলেরই পয়েন্ট সাতের বেশি হবে না। ফলে সেমিফাইনালে চলে যেতে পারবে ভারত ও বাংলাদেশ।

আবার যদি প্রোটিয়াদের কাছে ভারত হারে তাতেও শেষ চারে নাম উঠবে বাংলাদেশের। সেক্ষেত্রে বাকি ম্যাচগুলো জিততে হবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। এতে তাদের পয়েন্ট হবে ৯। আর ভারতের পয়েন্ট হবে ৬। তখন সবগুলো ম্যাচ জিতেছে ধরলে ৮ পয়েন্ট নিয়ে সেমিতে চলে যাবে বাংলাদেশ।

এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারত জিতে গেলেও সেমিতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের সামনে। এক্ষেত্রে ভারত ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ে জিতে গেলে তাদের পয়েন্ট হবে ৭। এতেও বাংলাদেশ সেমিফাইনালে যেতে পারবে। কারণ সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হেরে ভারতের সর্বোচ্চ পয়েন্ট হবে ৬।

সুতরাং নিজেদের ম্যাচগুলোতে জিতলেই চলবে না। বাকিদের ম্যাচগুলোর দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে বাংলাদেশকে।

Advertisement