Homeসব খবরবিনোদনযখন দেখে কাজটি ঠেকানো গেল না, তখন প্রশংসা করেন...

যখন দেখে কাজটি ঠেকানো গেল না, তখন প্রশংসা করেন : চঞ্চল চৌধুরী

বর্তমানে কলকাতার নির্মাতা সৃজিত মুখার্জির পরিচালনায় মৃণাল সেনের বায়োপিক ‘পদাতিক’-এর কাজে ব্যস্ত রয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী। দেশে তো বটেই এখন কলকাতাতেও ব্যাপক জনপ্রিয় তিনি।

সংবাদমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে সেই কাজটি ও নানা বিষয়ে কথা বলেছেন অভিনেতা। সেই আলাপেই তিনি বলেছেন, দেশে কোনো সিনেমা মুক্তি পেলে অন্যান্য শিল্পীরা সেভাবে প্রচার বা প্রশংসা করেন না। যখন দেখেন ওই কাজটি আর ঠেকানো গেল না, তখনই প্রশংসা করেন।

অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর কাছে প্রশ্ন ছিল — নতুন সিনেমা বা কাজ মুক্তি পেলে এদেশের ইন্ডাস্ট্রি ও শিল্পীদের এপ্রিসিয়েশন খুবই নগণ্য। বিষয়টিকে কিভাবে দেখেন?

চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘আমরা যারা শিল্পী বা কলাকুশলীরা ইন্ডাষ্ট্রিতে কাজ করি তারা সবাই কিন্তু সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহার করি। যখন একটি ভালো কাজ হয়, কাজটি সবাই যদি দেখার আহবান জানায় সোশ্যাল মিডিয়ায় সেটা ভালো প্রচার হবে। কিন্তু সেই কাজটি অনেক সময় করেন না। সেটা নানান কারণে করেন না। হতে পারে ঈর্ষার মানসিকতা থেকে। আমার কাজগুলোর ক্ষেত্রেও আমি দেখেছি, ইন্ডাস্ট্রির মানুষ তেমন করে সেগুলো প্রচার করেন নি। করে কখন? যখন দেখে এই কাজটি কোনোভাবেই আর ঠেকানো গেল না, তখন। তখন মুখ খোলেন বা প্রশংসা করেন। আমি মনে করি, এই ইন্ডাস্ট্রির যেই ভালো কাজ করুক ইন্ডাস্ট্রির দায়িত্ব তাকে প্রমোট করা।’

‘পদাতিক’-এর লুক প্রকাশের পর থেকে দুই বাংলার সিনেমাপ্রেমীরা চঞ্চলকে মৃণাল সেনই ভাবছেন, বিষয়টি কেমন লাগছে?

এমন এক প্রশ্নের জবাবে চঞ্চল বলেন, ‘এখনও আমি যেভাবে বসি বা কথাবার্তা বলি বা কোথাও বসতে গেলে ঐ চরিত্রের জন্য আমি যে যে প্রিপারেশনগুলো নিচ্ছি, সেরকম ভঙ্গিটা অটোম্যাটিক্যালি চলে আসে ভেতরে। তার মানে শুধুমাত্র এমন না যে যেদিন শুটিং আছে সেদিন ক্যামেরার সামনে গিয়ে ঐ চরিত্রটি হওয়ার চেষ্টা করছি।

‘আমাকে ঐ ঘোরের মধ্যেই থাকতে হচ্ছে। এ কারণেই দেখে অনেকে ভাবছেন চুল বড়, মৃণাল সেনের মতোই তো লাগছে! আসলে যতোদিন পর্যন্ত কাজটা শেষ না হচ্ছে কিংবা নতুন কোন চরিত্রে না প্রবেশ করছি ততোদিন পর্যন্ত এর কিছুটা বিষয় থাকবেই।’

এদিকে নতুন কাজ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিনেতা জানান, আপাতত ‘পদাতিক’ নিয়েই সব ব্যস্ততা এবং এটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন কোনো প্রজেক্টে যুক্ত হবেন না তিনি।

Advertisement