Homeসব খবরজেলার খবরমোশারফের ৫ লাখ টাকার রঙিন ফুলকপি বিক্রির আশা!

মোশারফের ৫ লাখ টাকার রঙিন ফুলকপি বিক্রির আশা!

চাষ পদ্ধতি সাদা ফুলকপির মতো। আর রঙিন ফুলকপি অল্প খরচে বেশি উৎপাদন করা যায়। সাদা ফুলকপির তুলনায় রঙিন ফুলকপির দাম বেশি হওয়ায় কৃষকের মাঝে রঙিন ফুলকপি চাষের আগ্রহ বেড়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় নেত্রকোনার বারহাট্টায় বাণিজ্যিকভাবে বাহারি রঙের ফুলকপি চাষ করে সফল হয়েছেন কৃষক মোশারফ হোসেন। চলতি মৌসুমে সাদা ফুলকপির পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে বাহারি রঙের ফুলকপি চাষ করছেন কৃষকরা।

কৃষক মোশারফ হোসেন নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার মনাষ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন মৌসুমি সবজির চাষ করে থাকেন। চলতি বছর তিনি রঙিন ফুলকপি চাষ করেছেন। স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় রঙিন ফুলকপির বীজ সংগ্রহ করে রোপন করেন তিনি। তার জমিতে হলুদ, বেগুনি, লাল ও সাদা রঙের ফুলকপির শোভা পাচ্ছে। বাহারি রং ও এর বাজারমূল্য ভালো থাকায় তার দেখাদেখি স্থানীয় অনেক কৃষকই এখন রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। খেতে সুস্বাদু ও দেখতে আকর্ষণীয় হওয়ায় প্রতিদিনই ভিড় করছেন স্থানীয় কৃষকসহ উৎসুক জনতা।

কৃষি বিভাগ বলছে, এটি উচ্চ প্রোটিন ও ওষুধিগুণে ভরা সবজি। ভোক্তা পর্যায়ে এর চাহিদা থাকায় আবাদও ব্যাপক সম্ভবনা রয়েছে।

কৃষক মোশারফ হোসেন বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন মৌসুমি সবজির চাষ করছি। এবছর আমার ৪০ শতক জমিতে নানা জাতের সবজির চাষ করেছি। তারমধ্যে ২০ শতকে রঙিন ফুলকপি চাষ করেছি। স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহযোহিতায় ফুলকপির বীজ সংগ্রহ করে জমিতে রোপন করি। আমার জমিতে হলুদ, বেগুনি, লাল ও সাদা রঙের ফুলকপি রয়েছে। ফলন বেশ ভালো হয়েছে। বীজ ও চাষাবাদে প্রায় ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ইতোমধ্যে ফুলকপি তুলে বিক্রি শুরু করেছি। আশা করছি ৪-৫ লাখ টাকার রঙিন ফুলকপি বিক্রি করতে পারবো। প্রতিটি ফুলকপি ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি করতে পারছি।

বারহাট্টা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাকিবুল হাসান বলেন, গত বছর অল্প পরিসরে চাষ হলেও এবছর বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন কৃষক প্রায় ১৫০ শতক জমিতে বাহারি রঙের ফুলকপির আবাদ। রঙিন ফুলকপি পুষ্টিকর ও উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ সবজি। আশা করছি আগামীতে আরো জমিতে রঙিন ফুলকপির আবাদ করা হবে। আমরা কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করছি।

Advertisement