Homeসব খবরজাতীয়মৃত্যুর চার দিন আগে তুষ্টিকে বাবা বলেছিলো বিসিএস ক্যাডার...

মৃত্যুর চার দিন আগে তুষ্টিকে বাবা বলেছিলো বিসিএস ক্যাডার হতে হবে!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী ইসরাত জাহান তুষ্টির মৃত্যুতে শোকের মাতম চলছে তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনাতে। একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে। বাকরুদ্ধ সকলেই। মেনে নিতে পারছেনা তার মৃত্যুকে। মেধাবী এই শিক্ষার্থীকে হারিয়ে স্তব্ধ এলাকাবাসী। তাকে শেষ বারের মতো এক নজর দেখার জন্য বাড়িতে ভিড় করছে এলাকাবাসী।

মৃত সরাত জাহান তুষ্টি, নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার সুখারী ইউনিয়নের নীলকন্ঠপুর গ্রামের মো. আলতাব উদ্দিনের একমাত্র কন্যা। তারা তিন ভাই, এক বোন। তার মধ্যে তুষ্টি ছিলো দ্বিতীয়।

জানা গেছে, তুষ্টি আটপাড়া উপজেলার ধর্মরায় রামধনু উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে (জিপিএ-৫) পেয়ে এসএসসি পাশ করেন। এরপর মদন উপজেলার জোবাইদা রহমান মহিলা কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তারা তিন ভাই, এক বোন। তিনি ভাই বোনের মধ্যে দ্বিতীয়। বড় ভাই মাসুদ মিয়া সৌদি আরবে থাকেন আর তুর্জয় মিয়া অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশুনা করেন। আরেক ভাই মাহির বয়স ছয় বছর। মা হেনা আক্তার গৃহিণী। বাবা আলতাব হোসেন ধান চালের ব্যবসা করেন।

পারিবারিক সূত্রে আরও জানা যায়, রোববার (৬ জুন) সন্ধ্যায় তুষ্টির মরদেহ গ্রামের বাড়িতে আসতে পারে। পরে আগামীকাল সোমবার (৭ জুন) জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হবে। তুষ্টির বাবা মো. আলতাব উদ্দিন বলেন, ৩ থেকে ৪ দিন আগে হল ছেড়ে ভাড়া বাসায় উঠে। তার সাথে নেত্রকোনার আরও কয়েকজন মেয়েও ছিল। তার সাথে মোবাইল ফোনে কথাও হয়েছিল। তখন তার মেয়েকে বলেন, বাবার মুখ উজ্জ্বল করার জন্য বিসিএস ক্যাডার হতে। তার সেই আশা আর পূর্ণ হলো না। সকালে তার বান্ধবীর কাছ থেকে তুষ্টির মৃত্যুর খবর পেয়ে বাকরুদ্ধ তিনি।

এদিকে তার মা হেনা আক্তার তুষ্টির মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। তিনি শুধু তুষ্টি তুষ্টি বলে কাঁদছেন। মায়ের কান্নায় যেন আকাশ বাতাস ভারী হয়ে গেছে। তুষ্টির চাচা প্রভাষক ঈমাম হোসেন জানান, তার এই মৃত্যুতে কোন অভিযোগ না থাকলেও তদন্ত রিপোর্ট আসার পরে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেবে। তার শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল বলেও জানান তিনি।

Advertisement