সম্প্রতি লুঙ্গি পরে স্টার সিনেপ্লেক্সের মিরপুর শাখায় ছবি দেখতে এলে তার কাছে টিকিট বিক্রি না করার অভিযোগ উঠে। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পরে স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ তাকে সসম্মানে ছবি দেখার ব্যবস্থা করে দেয়। বাড়তি পাওয়া হিসেবে সেই ছবির নায়ক-নায়িকার সাক্ষাৎ পান সামান আলী।
সামান আলী সরকার। বয়স ৭৮ বছর। সিরাজগঞ্জেই থাকেন তিনি। কিন্তু ছেলে থাকেন ঢাকায়। মাঝে মাঝে ছেলের কাছে বেড়াতে আসেন। ছেলের কাছে এলেই ছেলেকে না জানিয়ে চুপি চুপি হলে গিয়ে দেখে আসেন ছবি। সম্প্রতি গণমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাতকারে তিনি সেকথাই জানালেন তিনি।
সামান আলী বলেন, ‘ঢাকায় এলেই ছেলেকে না জানিয়ে চুপ করে হলে সিনেমা দেখতে যাই। ছোটবেলা থেকেই আমার ছবি দেখার অভ্যাস। এখন বয়স বেড়েছে। তাই ছবি দেখার কথা ছেলেদের বলতে পারি না। তাই নিজেই চুপ করে ছেলের বাসার কাছের সনি হলে যাই।’
তিনি বলেন, ‘একজন নায়িকা আছে না মিম। ওর ছবি ভালো লাগে। শুনি সে নাকি খুব ভালো অভিনয় করছে একটা ছবিতে। তাই আমি গেছি ‘পরাণ’ ছবি টিকিট কাটতে কিন্তু সেখান থেকে জানায় লুঙ্গি পরা লোক হলে ছবি দেখতে পারবে না। পরে আমি ফেরত আসি। এই ঘটনা কারা যেনো ভিডিও করে। আমি তো এতো কিছু বুঝিনা। ওই ভিডিওটার জন্য হলের মালিকরা আমার ছেলের ফোন নম্বার যোগাড় করে আমাকে ছবি দেখার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। ছবির নায়ক নায়িকা মিম ও নায়ক রাজও কাল আমার ছেলেকে ফোন করে আমার ছেলেকে ফোন আমার সাথে কথা বলেন।’
নায়ক-নায়িকা ফোন করে কি বলেছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মিম আমাকে ফোন করে আব্বা বলে ডাক দিয়েছে। আব্বা ডেকে বলেছে কিছু মনে করবেন না। আমরা বাপ-বেটি একসঙ্গে ছবি দেখব। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার শো। পরে আমি আমার পুরো পরিবার নিয়ে ছবি দেখতে যাই। ছবি দেখার সময় মিম ও রাজ দুইজনই আসে। ছবি দেখার পর আমার সঙ্গে অনেক কথা বলে এবং আমাদের আপ্যায়নও করে।’