Homeসব খবরজেলার খবরমিঠা পানিতে বাগদা চিংড়ি চাষে সফলতা!

মিঠা পানিতে বাগদা চিংড়ি চাষে সফলতা!

এবার মিঠা পানিতে বাগদা চাষে সাফল্য এসেছে বলে দাবি করেছে নড়াইলের ‘চিত্রা অ্যাগ্রো’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি নিরাপদ মাংসের জোগান নিশ্চিত করতে বিভিন্ন প্রজাতি ও আকৃতির গবাদি পশুর খামার গড়ে তুলেছে প্রতিষ্ঠানটি।

নড়াইল সদর উপজেলার তারাপুর গ্রামে ২০১৯ সালে মোট ৫৫ একর জমি নিয়ে যাত্রা শুরু করে ‘চিত্রা অ্যাগ্রো’। একসময় প্রতিষ্ঠানটি উপকূলবর্তী বিভিন্ন নদ-নদী থেকে আহরণ করা গলদা রেণু মজুতের পর চিংড়ি চাষ করলেও পরে নিজেদের খামারেই পোনা উৎপাদনের উদ্যোগ নেয়। এখানে ৪৫ একরের মাছের খামারের মিঠা পানিতে পরীক্ষামূলকভাবে হচ্ছে বাগদা চিংড়ি ও সাদা মাছের চাষ।

চিত্রা অ্যাগ্রোর ব্যবস্থাপক সুভাস চন্দ্র ঘোষ বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী দুটি মিঠা পানির পুকুর প্রস্তুত করে মা চিংড়ি মজুত করে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও নিবিড় পরিচর্যায় করা হয়েছে বাগদা পোনা চাষ। এতে পোনা উৎপাদনে সাফল্য আসে।

পাশাপাশি নিরাপদ মাংসের জোগান নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন প্রজাতি ও আকৃতির গবাদি পশুর খামার গড়ে তুলেছে। পশুর প্রাকৃতিক খাদ্যের সরবরাহ নিশ্চিতে ১২ একরজুড়ে নানা প্রজাতির ঘাস ও ভুট্টার চাষ করা হয়েছে। মাছ, গবাদি পশু পালনের পাশাপাশি চিত্রা অ্যাগ্রোর উৎপাদিত কৃষিপণ্যের মধ্যে ধান অন্যতম। চলতি বছর বিস্তীর্ণ এ খামারজুড়ে চাষ করা ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

চিত্রা অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী মিল্টন হোসেন সিকদার বলেন, মানুষের খাবার টেবিলে নিরাপদ খাদ্য পৌঁছে দিতেই এ ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এদিকে খামারে প্রযুক্তিগত নানা সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন নড়াইল সদর সিঙ্গাশোলপুর ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামিমা ইয়াসমিন।

তিনি বলেন, সবসময় উদ্যোক্তাদের পাশে আছে কৃষি বিভাগ। যেকোনো প্রয়োজনে তাদের সাহায্য-সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে খামাটিতে চিংড়িহ বছরে ৫০ মেট্রিক টন মাছ, ১ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন ধান ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদিত হয়।

Advertisement