Homeফুটবলমায়ের হাতে সেরা গোলরক্ষকের ট্রফিটি তুলে দিলেন রূপনা

মায়ের হাতে সেরা গোলরক্ষকের ট্রফিটি তুলে দিলেন রূপনা

শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাঙামাটির নানিয়াচর উপজেলার ভুইয়াদম রংধনু যুব সংঘ ও গ্রন্থাগার এবং এলাকাবাসীর ব্যানারে সাফ জয়ী দলের অন্যতম খেলোয়াড় রূপনা চাকমাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ইলিপন চাকমা, বিশেষ অতিথি ছিলেন নানিয়াচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফজলুর রহমান, ঘিলাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান বাসন্তি চাকমা প্রমুখ। বাড়ি ফিরে মায়ের হাতে সাফ সেরা গোলরক্ষকের ট্রফিটি তুলে দিয়েছেন রূপনা চাকমা।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আগে রূপনা চাকমাকে রাঙামাটির ভেদভেদী এলাকা থেকে একটি মোটরসাইকেল র‌্যালি শোভাযাত্রা করে ভুইয়াদম গ্রামে নিয়ে যায় গ্রামবাসী। প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। অনুষ্ঠান শেষে দীর্ঘ তিন মাস পর বাড়িতে ফিরেছেন সাফ সেরা গোলরক্ষক। এ সময় তার মাকে জড়িয়ে ধরেন এবং ট্রফিটি তার মায়ের হাতে তুলে দেন।

রূপনা চাকমা বলেন, আমি প্রায় তিন মাস পর বাড়ি এসেছি। আজ গ্রামবাসী যেভাবে আমাকে বরণ করে নিয়েছে এতে আমি ও আমার পুরো পরিবার খুবই আনন্দিত। গ্রামবাসী ও দেশবাসী যেভাবে আমাদের সম্মান দিচ্ছেন এটিকে ধরে রাখতে আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। দেশের জন্য আরও ভালো খেলতে হবে। আমি সকলের প্রতি অনুরোধ করবো যাতে আমাদের জন্য সবাই দোয়া করেন।

তিনি আরও বলেন, আমার জন্য নয় গ্রামবাসীর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার একটি আবেদন এই বাঁশের সাকোর পরিবর্তের দ্রুত ব্রিজ নির্মাণ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। নানিয়াচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফজলুর রহমান বলেন, এই দুর্গম এলাকা থেকে সাফ সেরা গোলরক্ষক হয়েছেন রূপনা চাকমা। ইচ্ছে শক্তি থাকলে সব কিছু সম্ভব সেটি রূপনা প্রমাণ করেছেন। রূপনা’র জন্য যা যা প্রয়োজন সব কিছুই করা হবে। শুধু রূপনাই নয় এই এলাকায় যে কোনো প্রয়োজনে প্রশাসনে পাশে থাকবে।

রূপনার ঘরের কাজের অগ্রগতি জানতে চাইলে তিনি আরও জানান, সব কিছু প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘর নির্মাণের অনুমতি পেলেই কাজ শুরু করা হবে। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ইলিপন চাকমা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছিল বলে রূপনাদের কাছে লুকিয়া থাকা প্রতিভাগুলো প্রত্যন্ত এলাকা থেকে বের করা সম্ভব হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সব সময় খেলাধুলা পছন্দ করেন।

রূপনার মা কালাসোনা চাকমা বলেন, অনেকদিন পর আমার মেয়ে বাড়িতে এসেছে। আমি খুবই খুশি। আমার মেয়েকে গ্রামবাসী যেভাবে সংবর্ধনা দিয়েছে এতে আমি খুবই খুশি। আপনারা আমার মেয়ের জন্য আশীর্বাদ করনে, ও যেন দেশের জন্য আরও ভালো খেলতে পারে।

Advertisement