Homeসব খবরজেলার খবরমাল্টা চাষে জাকারিয়ার ভাগ্যবদল!

মাল্টা চাষে জাকারিয়ার ভাগ্যবদল!

পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কয়েকটি মাল্টার গাছ দিয়ে শুরু করা বাগান এখন বাণিজ্যিক রূপ ধারন করেছে। এখন তার সংসারে আরে কোনো অভাব অনটন নেই। তার এই সফলতা দেখে উৎসাহিত হয়ে অনেকেই মাল্টা চাষে ঝুঁকছেন। মাল্টা চাষে মাল্টা চাষে ভাগ্য বদলেছেন জাকারিয়া।

দিনাজপুরের হিলির খট্টামাধবপাড়া ইউনিয়নের খট্টা গ্রামের বাসিন্দা জাকারিয়া। মাল্টা চাষের পর থেকে আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তার সফলতা দেখে মাল্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন এলাকার কৃষকরা। কৃষি বিভাগের পরামর্শে ছয় বছর আগে বড়ির পাশে ২০ শতক জমিতে মাল্টার চাষ শুরু করেন।

মাল্টা চাষি জাকারিয়া বলেন, আমি ২০১৬ সালে কৃষি বিভাগের পরামর্শে বাড়ির পাশে ২০ শতক জমিতে মাল্টার চাষ শুরু করি। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বারি-১ জাতের ৬০টি মাল্টার চারা এনে জমিতে লাগাই। তার মধ্যে ৩৬টি চারা টিকে ছিলো। চারা লাগানো দুই বছরের মধ্যে ফল আসা শুরু করে। প্রথম আসা ফল বিক্রি করিনি। ৩৫ হাজার টাকার মাল্টা বিক্রি করতে পারি। তারপর ক্রমাগত ৬০ হাজার টাকা আর গত বছর ৮০ হাজার টাকার মাল্টা বিক্রি করতে পারি। এবছর যা মাল্টা গাছে এসেছে তার বিক্রি করে লাখ টাকা আয় করতে পারবো। ২০১৯ সালে গাছে মাল্টার বাম্পার ফলন হয়। সে বছর বিক্রি শুরু করি।

জাকারিয়া আরও বলেন, আমার বাগানের মাল্টার সাইজ বড় ও সুস্বাদু। বর্তমানে আমার বাগানে ৪৮৫টি মাল্টা ও কমলার গাছ রয়েছে। তার মধ্যে দার্জিলিং কমলার গাছ ১৫০টি, ৬০টি ভিয়েতনামের বারোমাসি মাল্টা গাছ, বাকিগুলো বারি-১ জাতের মাল্টা গাছ। এবছর মাল্টা বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতি কেজি মাল্টা ১২০-১৫০ টাকা বিক্রি করি। পাইকাররা বাগানে এসে মাল্টা দেখে কিনে নিয়ে যান।

তিনি নতুন চাষিদের উদ্দেশ্যে বলেন, কৃষি বিভাগের পরামর্শে মাল্টার চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। আর কৃষি বিভাগ থেকে সার্বিক সহযোগীতাও পাওয়া যায়।

বাগান দেখতে আসা স্থানীয় কৃষক আসলাম হোসেন বলেন, জাকারিয়ার বাগানটি খুব সুন্দর হয়েছে। জায়গাটি খালি পড়ে ছিল। আগে তার আর্থিক অবস্থার ভালো ছিলনা। তবে এখন সে খুব স্বচ্ছল হয়েছে। আমিও তার কাছ থেকে মাল্টা চাষের পরামর্শ নিচ্ছি। সে কৃষি বিভাগের পরামর্শে মাল্টা চাষ করে সফল হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. মমতাজ সুলতানা বলেন, এবছর উপজেলায় ৩ হেক্টর জমিতে মাল্টার চাষ হয়েছে। যারা মাল্টার চাষ করতে চায় সেই সকল কৃষকদের আমরা সব ধরনের সহযোগীতা করবো। এই উপজেলায় মাল্টা চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement