Homeসব খবরজেলার খবরমালয়েশিয়ায় যাচ্ছে দিনাজপুরের আলু, দামে খুশি কৃষকরা!

মালয়েশিয়ায় যাচ্ছে দিনাজপুরের আলু, দামে খুশি কৃষকরা!

চলতি মৌসুমের মাঝখানে আলুর দাম কিছুটা কম থাকলেও এখন দাম বাড়ায় লাভবানও হয়েছেন কৃষকরা। দেশে খাদ্যের চাহিদা মেটানোর পর এবার ফসলের মাঠ থেকে সরাসরি দেশের সীমানা পেরিয়ে এখন বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার আলু। আর এতে ব্যস্ততা বেড়েছে কৃষক, শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের।

চলতি মৌসুমে উপজেলায় বীজ, সার ও কীটনাশকের পর্যাপ্ত সরবরাহ এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমান সময়ে দেশে ও দেশের বাইরে আলুর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি দেখা গেছে।

জানা যায়, চলতি বছর ২ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে ৫০ হাজার মেট্রিক টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ১০ হাজার টন বিদেশে রপ্তানি হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে দ্বিতীয় বছরের মত কাজ করছে কৃষি বিভাগ। এই উপজেলার সাগিতা, গ্রানুলা, সানসাইন, কুমরিকা, সেভেন জাতের আলু মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানির কার্যক্রম ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে একশ টন রপ্তানি হয়েছে।

হোসেনপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল আলীমসহ প্রায় শতাধিক কৃষক কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় রফতানিকারকদের মাধ্যমে বিদেশে আলু রফতানি করছেন। তারা বলেন, জমি থেকে প্রতি কেজি আলু ১৪-১৫ টাকা দরে বিদেশে রপ্তানি করছেন চাষিরা। এতে কৃষকরাও বেশ খুশি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায় বলেন, এই উপজেলার মাটি চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় ভালো ফলন হয়েছে। গত বছরগুলোর তুলনায় এবার বিদেশে চাহিদা বেড়েছে। আলু রপ্তানিতে কৃষি বিভাগ রপ্তানিকারকদের সাথে কৃষকদের যোগসূত্র স্থাপনে কাজ করছেন। তিনি আরো বলেব, কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে আধুনিক কলাকৌশল বিষয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। কৃষকরা বিদেশে রপ্তানি করে আর্থিক ভাবে লাভবান হতে পারে। ওই প্রকল্পের আওতায় রফতানিযোগ্য জাতের আলুর চাষাবাদ সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।

Advertisement