আধ্যাত্মিকতার পাশাপাশি নামাজের গুণাগুণ বা মানুষের দেহ ও মনে নামাজের প্রভাব সম্পর্কে এক গবেষণা করেন আমেরিকার নিউইয়র্কের বিংহ্যাম্পটন ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক। সে গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ৫ বার সঠিক পদ্ধতিতে নামাজ আদায় করলে নানারকম শারীরিক সমস্যা দূর হয়।
তারা বলছেন, নামাজের মাধ্যমে অনেক রোগ-ব্যাধি নিরাময় সম্ভব। বিশেষ করে নার্ভের সমস্যা, জয়েন্টের সমস্যা, হাড়ে ব্যথা, মস্তিষ্ক-পেশি ও রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা ইত্যাদি উপশম হয়। রুকু-সিজদাহ ধীরেসুস্থে ঠিকঠাকভাবে করলে এ ধরনের সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, নামাযের বিভিন্ন ধাপে বিভিন্ন রকম অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে শরীরের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কাজ হয়। ফলে শারীরিক ভারসাম্য সুরক্ষিত হয়। হাঁটু, গোড়ালি, কবজি, কনুই, কোমর, পিঠ, ঘাড় ইত্যাদির ব্যথা সেরে যায়।
আরও বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে গবেষণা রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে– সিজদা করার সময় মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়। ব্রেনের বিভিন্ন সেল পুনরুজ্জীবীত হয়। ফলে মেধার বিকাশ হয়, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
এ ছাড়াও দৈহিক কাঠামো সুগঠিত হয়। শরীরের কোনও অংশে বিকৃতি বা অসংলগ্নতা থাকলে, তাও ক্রমে লোপ পায়। দৃষ্টিশক্তি বাড়াতেও সহায়ক নামাজ। সমগ্র নামাজটাকেই একটা পূর্ণাঙ্গ ব্যায়াম বা শরীরচর্চা বলে উল্লেখ করেছেন গবেষকরা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, নামাজ এমন এক দৈহিক কসরত, যা নারী-পুরুষ, ছোট-বড় সকলে অনায়াসেই করতে পারে।
শারীরিক উপকারিতার পাশাপাশি তাঁরা এও বলেছেন– মনের ওপরেও অসাধারণ প্রভাব বিস্তার করে নামাজ। মানসিক সুস্থিতি লাভে ভীষণভাবে সাহায্য করে নামাজ। মানসিক একাগ্রতা– ধৈর্যশীলতা বাড়ায় নামাজ।
সূত্র: বিংহ্যাম্পটন ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইট, আরটিভি অনলাইন।