Homeসব খবরজেলার খবরমরিচের বাম্পার ফলন, দামে খুশি চাষিরা

মরিচের বাম্পার ফলন, দামে খুশি চাষিরা

মরিচ এই জেলার অন্যতম প্রধান অর্থকরি ফসলের মধ্যে একটি। এখানকার কৃষকরা ব্যাপক পরিমানে এর চাষ করে থাকেন। এবছর কৃষকরা মরিচের বাম্পার ফলন পেয়েছেন। পাশাপাশি বাজারদর ভালো থাকায় বিক্রি করে লাভবান হতে পারছেন তারা। কেন্দুয়ায় মরিচ চাষে কৃষকের দ্বিগুণ লাভ হচ্ছে।

কেন্দুয়া উপজেলার মধ্যে মোজাফফরপুর,কান্দিঊড়া, চিরাং ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি কাচাঁমরিচের চাষ করা হয়েছে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় মরিচের ফলন ও বাজারদর বেশি পাওয়া যায় বলে কৃষকরা হাওরের বালুমাটিতে এর বেশি চাষ করে থাকেন। এতে কৃষকরা দ্বিগুণ ফলন পেয়ে থাকেন। এছাড়াও হাওরের বালুমাটিরতে প্রচুর পরিমানে পলি জমে থাকে।

অন্যান্য ফসলের তুলনায় বেশি লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা দিন দিন মরিচ চাষে ঝুঁকছেন। বর্তমানে কৃষকরা বিঘাপ্রতি ৩০ মণ করে মরিচের ফলন পাচ্ছেন। আর প্রতি কেজি ৮০-৯০ টাকা দরে বিক্রি করতে পারছেন।

কান্দিউড়া ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের কৃষক রফিক বলেন, গত বছর উৎপাদিত মরিচ শুকিয়ে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা বিক্রি করেছিলাম। এবছর না শুকিয়ে কাঁচা মরিচ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। জমিতে যা মরিচ রয়েছে তা আরো ৫৫-৬০ হাজার টাকার বিক্রি করতে পারবো। ফলে আগের তুলনায় দ্বিগুণ লাভ হচ্ছে। উৎপাদিত কাঁচা মরিচ জমি থেকেই পাইকারদের কাছে বিক্রি করতে পারছি বলে যাতায়াত ভাড়াও লাগছে না।

চারিতলা গ্রামের কৃষক রাসেল বলেন, পাইকাররা জমি থেকেই মরিচ নিয়ে যাচ্ছে। ফলে আমাদের বাজারে নিয়ে যাওয়ার খরচ কমে গেছে। আর এবছর যা ফলন পেয়েছি তাতে কাঁচা মরিচ বিক্রির ফলে আমি প্রায় দ্বিগুণ লাভ পেয়েছি। আগামীতে আরো বেশি জমিতে চাষ করবো।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাজাহান কবীর বলেন, চলতি মৌসুমে কেন্দুয়া উপজেলায় ২২০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। শুকনো মরিচের তুলনায় কাঁচা মরিচ বিক্রি করে কৃষকরা বেশি লাভ করতে পারেন। আমরা কৃষকদের মরিচ চাষে সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করছি। এতে কৃষকরা মরিচ চাষের প্রতি আরো আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

Advertisement