Homeসব খবরবিনোদনমধ্যরাতে শাকিবের কক্ষে নারী কি করছিল, প্রশ্ন বুবলীর

মধ্যরাতে শাকিবের কক্ষে নারী কি করছিল, প্রশ্ন বুবলীর

ঢাকাই চলচ্চিত্রের সুপারস্টার শাকিব খানের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ এর শুটিংয়ে শিডিউল ফাঁসানো ও নারী সহ-প্রযোজককে ধ’র্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন রহমত উল্ল্যাহ নামে এক প্রযোজক। ওই প্রযোজকের নামে মানহানি মা’মলা করতে শনিবার (১৮ মার্চ) রাতে গুলশান থানায় উপস্থিত হন শাকিব খান, কিন্তু পুলিশ মা’মলাটি না নিয়ে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেয়।

তবে আদালতে না গিয়ে শাকিব খান গতকাল পুলিশের গোয়েন্দা কার্যালয়ে যায় এবং সেই প্রযোজকের নামে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরই মধ্যে আজ প্রযোজকের পাঠানো কিছু নথিপত্র সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পায়। সেখানে দেখা যায়, শাকিব খানের নামে অষ্ট্রেলিয়ান পুলিশের কাছে অ্যানি সাবরিন নামে এক নারীকে ধ’র্ষণের অভিযোগের প্রমাণ রয়েছে। কিন্তু সেই নথিপত্রগুলো আসল নাকি নকল সে প্রসঙ্গে রয়েছে ধোয়াশা!

বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত শাকিব খানের পক্ষ থেকে কোনো সরাসরি বক্তব্য পাওয়া যায়নি। যদিও শাকিব খান বরাবরের মতনই বলে আসছে ওই প্রযোজক ভূ’য়া। তার সব কিছু ভূ’য়া। তবে এ নিয়ে মুখ খুলেছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী চিত্রনায়িকা শবনম ইয়াসমিন বুবলী।

আজ সোমবার (২০ মার্চ) বিকেলে বুবলী তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে লিখেন, শাকিব খান একজন অভিনয়শিল্পী যে কিনা প্রায় ২৪ বছর এই বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জন্য কাজ করেছেন, অসংখ্য ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন, অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, সিনেমা নিয়ে ভেবেছেন। হঠাৎ করে বিভিন্ন ধরনের ইস্যু এনে তাকে নিয়ে নানান বিতর্কের সৃষ্টি করা হচ্ছে!

শাকিব খানের বিরুদ্ধে সেই প্রযোজকের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি লিখেন, অনেক বছর আগের ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ নামের একটি সিনেমার শুটিং চলাকালীন শাকিব খান এর ব্যাপারে বিস্তর তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে নিজেকে প্রডিউসার দাবি করে এক ব্যক্তি তাকে নিয়ে নানান অভিযোগ করছেন। আচ্ছা শুটিং চলাকালীন এতো এতো অভিযাগ যখন টের পেয়েছিলো উনারা, তাহলে কেনো তখন তাকে বাদ দেয়া হলো না? সমিতিগুলোতে অভিযোগ করা হলো না? দু-পক্ষের কথা শোনা হলো না?

এর আগে শাকিব খান ‘সুপার হিরো’ সিনেমার শুটিং অস্ট্রেলিয়ায় সম্মানের সাথে শেষ করে বুবলী আরও লিখেন, ২০১৬ সালের অস্ট্রেলিয়ায় অপারেশন অগ্নিপথ শুটিং এর পর ২০১৮ সালে শাকিব খান তার সুপার হিরো নামের আরেকটি সিনেমার শুটিং সম্মানের সাথে প্রায় ২০ দিনে অস্ট্রেলিয়া থেকে শেষ করে আসেন। উনি যদি কোনো ব্যাপারে দোষী থাকতেন তাহলে তো অস্ট্রেলিয়ান পুলিশ তাকে তখন শুটিং এর অনুমতিই দিতেন না, শাকিব খান নিজেও অস্ট্রেলিয়া যেতেন না।তার খাবার খাওয়া নিয়ে বলা হচ্ছে , উনি কি ডায়মন্ডের খাবার খেতেন যেটা নিয়েও অভিযোগ যে, অনেক খরচ হতো!

মধ্যরাতে শাকিবের কক্ষে নারী প্রসঙ্গ টেনে তিনি লিখেন, ‘মধ্যরাতে তার হোটেল রুমে নারী সংক্রান্ত ইস্যু নিয়ে বলা হচ্ছে , মধ্যরাতে তার হোটেল কক্ষে নারী কি করছিলেন? কি তার বা তাদের উদ্দেশ্য ছিল? এতো বছর কেনো ওসব ঘটনা নিয়ে সেই নারী প্রকাশ্যে কথা বললেন না! এখন কেনো এই প্রডিউসার দাবি করা ব্যক্তি অস্থির হয়ে গেলেন? আর দেশে হোক বা বিদেশে! যে কেউ যে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করতেই পারে, খাতায় নাম উঠতেই পারে, কিন্তু আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে, উভয় পক্ষের প্রমানাদি নিয়ে।

পেশাগত জায়গায় যথেষ্ট ডেডিকেটেড উল্লেখ করে বুবলী আরও লিখেন, ‘কথা হলো, হঠাৎ এতো অভিযোগের ভান্ডার কেনো? কি চাচ্ছে ? শিডিউল ? মুভি শেষ করে দেয়া? আমার জানা মতে শাকিব খান অনেক বার অপারেশন অগ্নিপথের শিডিউল কয়েকবারই দিয়েছেন, কিন্তু শুটিং হয়নি। এখনও যদি শিডিউল চাওয়া হয় সিনেমা শেষ করতে, উনি অবশ্যই শিডিউল দিবেন, কারন সে পেশাগত জায়গায় যথেষ্ট ডেডিকেটেড, তা নাহলে ২৪ বছর ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে পারতেন না কারন একজন সফল শিল্পী একদিনে তৈরি হয়না। কয়েক বছর ধরে দেখছি, একটা চক্র কিছুদিন পর পরই শাকিব খানকে নিয়ে ওঠেপড়ে লাগে। নানা চক্রান্তে মেতে ওঠে। বিষয়টা যেন এমন, তাকে হটিয়ে দিতে পারলেই আমরা রাজা। কিন্তু তার লাখো কোটি ভক্তরা কখনোই তা হতে দেয়নি। দিবেও না। সবসময়ই তারা তাকে আগলে রাখে। শক্তি দিয়ে এগিয়ে নেয়।

সর্বশেষ শাকিব খানকে রাজা এবং সুপারস্টার দাবি করে এই নায়িকা লিখেন,’শুধু মনে রাখবেন একজন রাজা সব সময় রাজাই থাকে! একজন সুপারস্টার সবসময় সুপারস্টারই থাকে।’

Advertisement