Homeসব খবরজেলার খবরভাসমান খাঁচায় মাছ চাষে স্বাবলম্বী মাসুদ!

ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষে স্বাবলম্বী মাসুদ!

খাঁচা পদ্ধতিতে চাষে তুলনামূলক খরচ কম এবং বেশি উৎপাদন হয়। আর বাজারে এই পদ্ধতিতে উৎপাদিত মাছের বেশি চাহিদা থাকায় ভালো দামে বিক্রি করতে পারেন চাষিরা। এতে তারা লাভবান হতে পারেন। দিন দিন এই পদ্ধতি জনপ্রিয়তা পাওয়ার পাশাপাশি এইভাবে চাষে কৃষকদের আগ্রহও বাড়ছে। নদীতে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষে স্বাবলম্বী মাসুদ হাওলাদার।

মাছচাষি মাসুদ হাওলাদার মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাসিন্দা। এই উপজেলার মৃতপ্রায় নদ-নদীর ওপর একাধিক ভাসমান মাছের প্রকল্প রয়েছে। নদীর পাড় ঘেসে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় একাধিক ভাসমান মাছের প্রকল্প। এইসব প্রকল্পে মাছ চাষ করে চাষিরা স্বাবলম্বী হতে পারেন। ভাসমান খাঁচাগুলোতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের চাষ করা যায়। বড় হয়ে প্রতিটি মাছের ওজন প্রায় ৮০০ গ্রামের মতো হয়। আর একটি খাঁচায় প্রায় ৪০০ কেজি মাছ উৎপাদন করা সম্ভব। তবে বেশি লাভের আশায় চাষিরা তেলাপিয়া মাছের বেশি চাষ করে থাকেন। কারণ এই মাছ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। প্রতিটি খাঁচায় ৮০০-৯০০ পোনার চাষ করা যায়।

মাছচাষিরা নিজেদের খাঁচা পাহারা দিতে ভাসমান মাছের খাঁচার ওপর ছাউনি ঘর নির্মাণ করে রাতযাপন করেন। সন্ধ্যার পর সেখানে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে লাইটের ব্যবস্থা করা হয়। যা দূর থেকে আকর্ষনীয় দেখায়।

মাছচাষি মাসুদ হাওলাদার বলেন, ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষে কিছুটা ঝুঁকি রয়েছে। পাটের মৌসুমে চাষিরা নদীতে পাট পচালে তখন মাছ মারা যায়। আবার স্থানীয় বাজার থেকে পোনা সংগ্রহ করলে সেখানে নিম্নমানের পোনা মিশিয়ে বিক্রি করে। এছাড়া প্রথম দিকে খাঁচা তৈরীতে বেশ অনেক টাকা খরচ হয়। ফলে উৎপাদিত মাছ বিক্রি করে লাভবান হতে পারি। তবে নদীর পানিতে চাষ করলে প্রাকৃতিক ভাবে দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

তিনি আরও বলেন, আমার ৯০টি খাঁচা রয়েছে। এই খাঁচাগুলো থেকে বছরে প্রায় সাড়ে ৪ টন মাছের উৎপাদন হয়। উৎপাদিত মাছ বিক্রি করে লাভবান হতে পারি। তবে আমাদেরকে সরকারী ভাবে অল্প সুদে ঋণ দিলে আমরা আরো বেশি পরিমানে মাছের উৎপাদিন করতে পারতাম।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এটিএম শামসুজ্জামান বলেন, বর্তমানে এই উপজেলায় ৮টি প্রকল্পে প্রায় ৫০০টি খাঁচায় মাছ চাষ হচ্ছে। আমরা প্রথমে উপজেলার ৪ জন চাষিকে ১০টি খাঁচা ও মাছের পোনাসহ ২ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছি। ভাসমান খাঁচা থেকে বছরে প্রায় ২০০ টন মাছের উৎপাদন সম্ভব। ধীরে ধীরে খাাঁচায় মাছের চাষ ও চাষির সংখ্যা বাড়ছে।

Advertisement