Homeসব খবরজেলার খবরভাসমান খাঁচায় মাছ চাষে চাষিদের ভাগ্যবদল!

ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষে চাষিদের ভাগ্যবদল!

মাছ চাষে পুকুরে চাষকৃত মাছের চেয়ে খাঁচায় চাষকৃত মাছ বেশি সুস্বাদু হয়। আর প্রবাহমান পানিতে চাষ করলে মাছ বাড়েও তাড়াতাড়ি। তাই সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের চাষিরা খাঁচা পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করছেন। অল্প পুঁজিতে বেশি লাভজনক হওয়ায় দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে নদীতে খাঁচায় মাছ চাষ পদ্ধতি।

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ফুলজোর নদীতে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে খাঁচায় মাছ চাষ। অল্প পুঁজি নিয়ে বেশি লাভবান হওয়া যায় বলে এই পদ্ধতিতে মাছ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন স্থানীয় মৎস্যজীবী ও বেকার যুবকরা। ফলে দূর হচ্ছে বেকারত্ব। সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ফুলজোর নদীতে বকুলতলা, তিননান্দীনা, নলছিয়া, সাহেবগঞ্জ, ফরিদপুর, রামপুর, ঘুড়কা, বিষ্ণুপুর, ধানগড়া, জয়ানপু, চান্দাইকোনা।

এসব এলাকাজুড়ে বড় বড় খাঁচায় ভাসমান পদ্ধতিতে মাছ চাষ হচ্ছে। নদীর পানি প্রবাহমান থাকার কারণে পানি দূষিত হতে পারে না। আর খাঁচার মাছের উচ্ছিষ্ট খেয়ে নদীর মাছেরও প্রবৃদ্ধি হয়। পুকুরের মাছ থেকে ভাসমান খাঁচার মাছের স্বাদ ভালো হওয়ায় এই মাছ বিক্রি করে লাভবান মৎস্যচাষিরা। আর নদীর প্রবাহমান পানিতে মাছ বাড়ে তাড়াতাড়ি তাই বাজারে এর চাহিদাও প্রচুর। এই উপজেলায় প্রায় ৫১ জন মৎস্যচাষি মোট ১ হাজার ৮০০টি খাঁচায় মাছ চাষ করছেন।

মাছচাষী আব্দুস সালাম বলেন, পানির গভীরতা ৬ ফুট প্রস্থ ১৫ ফুট ও দৈর্ঘ্য ২০ ফুট থাকে এমন ভাবে বাঁশ, লোহা, ড্রাম ও জাল দিয়ে খাঁচা তৈরি করতে হয়। একেকটি খাঁচা তৈরীতে প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতিটি খাঁচায় ৭০০-৮০০ পিস মাছ দেওয়া যায়। মাছ ছাড়ার ৫-৬ মাস পর তা বিক্রির উপযুক্ত হয়। সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতিটি খাঁচায় লাভ ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা হয়। ১ কেজি মাছে উৎপাদন খরচ ১১০ টাকা আর বিক্রি হয় ১৫০ টাকায়।

রামপুর গ্রামের মাছ চাষী জহুরুল বলেন, ভাসমান খাঁচায় নদীর প্রবাহমান পানিতে চাষ করা হয় বলে মাছের তেমন রোগবালাই হয় না। বাজারে এই মাছের ব্যাপক চাহিদা থাকায় ভালো দামে বিক্রি করে লাভবান হতে পারি। এসব খাঁচায় সাধারনত তেলাপিয়া ও কাপ জাতীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করা যায়।

উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা ড. হাফিজুর রহমান বলেন, উপজেলায় নদীর প্রবাহমান পানিতে ভাসমান খাঁচা পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। আগামীতে এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ ছড়িয়ে দিতে আমরা কাজ করছি। আমরা ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

Advertisement