Homeসব খবরজেলার খবরব্ল্যাক রাইস চাষে কাওসারের সাফল্য!

ব্ল্যাক রাইস চাষে কাওসারের সাফল্য!

প্রথমবারের মতো চাষেই বেশ সাড়া ফেলে দেন কাওসার। তার সফলতা দেখে অনেকেই এই ধান চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বরগুনায় পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ব্ল্যাক রাইস চাষে সফল তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা কাওসার হাওলাদার। এর চালে রয়েছে ঔষধিগুণ। এছাড়াও বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা থাকায় তিনি অনলাইনের মাধ্যমে দেখে চাষে আগ্রহী হন।

কাওসার হাওলাদার বরগুনার আমতলীর চাওড়া ইউনিয়নের কালিবড়ি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি অনলাইনের মাধ্যমে এর চাষ দেখে আগ্রহী হন। আগ্রহী হয়ে তিনি তার জমিতে ৭ জাতের ধান চাষ করেন। দেশের বিভিন্ন জেলায় এর চাষ হলেও এই জেলায় তিনিই প্রথম ব্ল্যাক রাইসের চাষ করেন বলে জানায় কৃষি বিভাগ।

ব্ল্যাক রাইস পাকার আগে সবুজ থাকে। যখন পাকতে শুরু করে তখন ধীরে ধীরে কালো হয়ে যায়। এর চাষে প্রচুর পরিমানে অ্যা’ন্টি অ’ক্সিডেন্ট থাকায় শরীরের রো’গ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আর এতে থাকা ফাইবার হা’র্টকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি ডায়া’বেটিসসহ আরো বেশ কয়েকটি রোগের প্রতিরোধে কাজ করে। তাই এই চাষ খুব দামি ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন।

তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা কাওসার বলেন, আমি অনলাইনের মাধ্যমে এই ধানের চাষ সম্পর্কে জানতে পারি। তারপর এই ধান চাষ করার পরিকল্পনা করি। সিলেট থেকে প্রতিকেজি ৬০০ টাকা দরে ৩ কেজি ব্ল্যাক রাইসের বীজ সংগ্রহ করি। অতপর এর চাষ শুরু করি। আমাদের অঞ্চলে এই ধানের পরিচিতি কম হওয়ায় অনেকেই কৌতুহল নিয়ে দেখতে আসেন। অনেকে আমার কাছ থেকে বীজ কিনে নিতে চাচ্ছেন। আমি ব্ল্যাক রাইসের পাশাপাশি বাসমতি, বঙ্গবন্ধু ১০০, জিয়া ৮৬, ভিয়েতনাম চায়না, ফাতেমা, পারপেল রাইসসহ মোট ৭ জাতের ধান চাষ করেছি। এই সবগুলো জাতের মধ্যে কোনোটি বেশি কালো আবার কোনোটি লালচে রঙের। এর চাষ পদ্ধতি সাধারন ধানের মতোই। এলাকার কৃষকদের থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আমি সুলভ মূল্যে এই ধানের বীজ বিক্রি করে কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই। ভালোভাবে পরিচর্যা করলেই বেশি ফলন ও লাভবান হওয়া সম্ভব।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিএম রেজাউল করিম বলেন, এটি একটি উচ্চ মূল্যের ধানের জাত। এই উপজেলায় কাওসারই প্রথম চাষ করেছেন। এতে অধিক পুষ্টিগুণ রয়েছে। আমরা কৃষকদের এই ধান চাষে সার্বিক সাহায্য সহযোগিতা করবো। ব্ল্যাক রাইস ধানের দামও বেশি।

Advertisement