Homeসব খবরজেলার খবরব্ল্যাক বিউটি টমেটো চাষে জামিলের সাফল্য!

ব্ল্যাক বিউটি টমেটো চাষে জামিলের সাফল্য!

নতুন জাতের এই টমেটোটির চাষ করে সফলতা পেয়েছেন কুমিল্লা নগরীর ঠাকুরপাড়া বাগানবাড়ী এলাকার আহমেদ জামিল সেলিম। তিনি আমেরিকার সাউদ ক্যারোলিনা থেকে এই কালো জাতের টমেটোর বীজ সংগ্রহ করেন। কালো রঙের নতুন জাতের টমেটো ব্লাক বিউটি এখন বাংলাদেশে চাষ হচ্ছে। দেখতে কালো এবং বেশিদিন সংরক্ষণ করা যায় বলে বাজারে এর ব্যপক চাহিদা রয়েছে।

কালো টমেটো অনেক দেশে ‘অর্নামেন্টাল ফ্রুট’ হিসেবে চাষ হয়। এই টমেটোর ফলন অনেক বেশি হয়েছে। প্রতিটি গাছে ৫০-৬০টির মত কালো টমেটো ধরেছে বলে জানিয়েছেন জামিল। স্থানীয়দের কাছে এটি ‘কালো সুন্দরী’ নামে পরিচিত। কৃষি মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে অনুমোদন পাবার পর তিনি বাণিজ্যিক চাষাবাদ শুরু করবেন। ইতোমধ্যে জামিলের কালো টমেটো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট এবং কৃষি অধিদপ্তর।

চাষি আহমেদ জামিল সেলিম বলেন, নতুন কোনো জাতের ধান বা শাক-সবজির খোঁজ পেলেই আমি তার সংগ্রহের চেষ্টা করি। ব্ল্যাক বিউটি টমেটোর বীজটিও তেমন। আত্মীয়ের কাছে এ জাতটি সম্পর্কে খোঁজ পেয়ে তা আমেরিকা থেকে নিয়ে এসেছি। চাষ করে সফলতাও পেয়েছি। অনেকেই এই টমেটো দেখার জন্য আমার বাড়িতে ভিড় করছেন। এটা অনেক আনন্দের। আমার সংগ্রহের মধ্যে রয়েছে ব্ল্যাক বিউটি, পর্ন চপ, টাইগার এলা এরর, অস্ট্রেলিয়া থেকে আনা চেরী টমেটোর বীজ।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটে টমেটো নিয়ে গবেষণা করছেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ফেরদৌসি ইসলাম বলেন, প্রচলিত টমেটোর সঙ্গে কালো টমেটোর কিছু গুণগত পার্থক্য রয়েছে। সাধারণ টমেটোর চেয়ে বেশি এর ফলন অনেক বেশি হয়, যা দেশিয় চাষিদের জন্য উপকারী ব্যাপার। এ টমেটোর খাদ্যগুণ দেশি টমেটোর চেয়ে বেশি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক তারিক মাহমুদুল ইসলাম বলেন, এই জাতটি শীত প্রধান দেশের। আহমেদ জামিল সেলিমই এ দেশে প্রথম এর চাষ করলেন। এটি কৃষক পর্যায়ে গেলে প্রতি গাছ থেকে ৮/১০ কেজি টমেটো পাওয়া যেতে পারে। ব্ল্যাক বিউটির গাছ সাধারণত টমেটোর গাছ থেকে অনেক বড় হয়।

Advertisement