Homeসব খবরক্রিকেটব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের প্রভাব মাঠে পড়বে না, তারই প্রমাণ দিলেন...

ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের প্রভাব মাঠে পড়বে না, তারই প্রমাণ দিলেন সাকিব-তামিম

তামিম ইকবাল আগেই বলেছিলেন ড্রেসিংরুমে যা-ই হোক, মাঠে তাঁরা পেশাদারিত্ব ঠিক রেখেই লড়বেন! গতকাল মিরপুরেও তেমনটা দেখা যায়। ইংল্যান্ডের ওপেনার জেসন রয় আউট হওয়ার পর তামিম আর সাকিব একসঙ্গে উদযাপনে মাতেন। মূলত সাকিবের বলে জেসন রয়ের তোলা ক্যাচটি লুফে নেন তামিম। এর পরই তাঁদের উচ্ছ্বাস। পাশ থেকে সতীর্থরাও যোগ দেন।

এদিকে, অধিনায়ক তামিম ইকবালের মতে, বোলিং-ফিল্ডিংয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন তারা। কিন্তু মাঝে মধ্যে ডেভিড মালানের খেলা ইনিংসের কাছে সবকিছু বিফলে যায়। ব্যাট হাতে প্রত্যাশা মতো রান পায়নি বাংলাদেশ। ওপেনিং জুটি কিংবা মিডল অর্ডারে নাজমুল শান্ত ও মাহমুদুল্লাহ জুটির পরে ২০৯ রানের সংগ্রহকে অল্প মানতেই হবে। তবু বল হাতে দুর্দান্ত লড়াই করেছে বাংলাদেশ।

ম্যাচ শেষে টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা ভালো অবস্থানে ছিলাম, আরও অন্তত ৩০-৩৫ রান বেশি করতে হতো। স্পিনের বিপক্ষে খেলা কঠিন ছিল। কিন্তু আমরা মিডলে ভালো জুটি পেয়েছিলাম। কিন্তু শেষ করতে পারিনি। মিডলে দ্রুত তিন উইকেট হারানো খুবই প্রভাব ফেলেছে। আমি মনে করি, এটা ২৫০ রানের উইকেট। আমরা ওই পথেই ছিলাম, কিন্তু বেশি উইকেট হারিয়ে ফেলেছিলাম।’

বল হাতে পেসার তাসকিন এবং স্পিনার মিরাজ ও তাইজুল অসাধারণ করেছেন। ফিল্ডিং-ক্যাচিংয়ে বাংলাদেশ খুবই ভালো ছিল। তবে মালানের (১১৪*) কোন উত্তর খুঁজে পায়নি বাংলাদেশ। একজন সেঞ্চুরির ইনিংস খেললে কিছু করার থাকে না বলেও মন্তব্য করেছেন বাঁ-হাতি ওপেনার ও টাইগার অধিনায়ক তামিম।

তিনি বলেন, ‘আমরা ভালো বোলিং করেছি এবং খুবই ভালো ফিল্ডিংহয়েছে। বোলিংয়ে যে যে অপশন ছিল সবই ব্যবহার করেছি। কিন্তু মাঝে মধ্যে মালান যে ইনিংস খেলেছে ওমন ইনিংসের কাছে সব বিফলে যায়। বোলারদের নিয়ে আমি গর্বিত। স্কোরবোর্ডে আর কটা রান থাকলে আমরা হয়তো তাদের রুখতে পারতাম। তবে যেটা বললাম, একজনই পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন।’

Advertisement