Homeসব খবরজেলার খবরবেগুনি ফুলকপি চাষে সফল দম্পতি

বেগুনি ফুলকপি চাষে সফল দম্পতি

বাজারে সাধারণ ফুলকপি বা বাঁধাকপির চেয়ে বেগুনি ফুলকপি সুস্বাদু হওয়ায় চাহিদাও প্রচুর। এমনকি দাম ভালো পাওয়ায় বেগুনি ফুলকপি চাষাবাদে ঝুঁকেছেন কৃষকরা। জয়পুরহাটে এই প্রথম অধিক খাদ্য গুণাগুণসম্পন্ন বেগুনি ফুলকপির বাণিজ্যিক চাষাবাদ শুরু হয়েছে।

সদর উপজেলার ভাদসা গুচ্ছগ্রাম এলাকার কৃষক আমেদ আলী ও আজেদা দম্পতি ১৫ শতক জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে বেগুনি ফুলকপি চাষ করেছেন। বেগুনি ফুলকপি দেখতে সাধারণ ফুলকপির মতো হলেও ফুল-ফলের রং বেগুনি। চাষপদ্ধতিও সাধারণ ফুলকপির মতো। বেগুনি ফুলকপির চাষ নতুন হওয়ায় এলাকায় সাড়া ফেলেছে। তা দেখতে কৃষকরা প্রতিদিন ছুটে আসছেন।

চাহিদা থাকায় সাধারণ ফুলকপি থেকে এর দাম ১০-১৫ টাকা বেশি। চারা রোপণ থেকে ৬৫ দিন মেয়াদী ১৫ শতক জমিতে বেগুনি ফুলকপি চাষে ব্যয় হয়েছে ৮ হাজার টাকা। প্রথমদিকে এ ফুলকপি ৫০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।

জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাদসা গ্রামের মাসুদ মিয়া, আনোয়ার হোসেন ও তেঘর গ্রামের খোকন আহম্মেদ বলেন, ‘খেতে সুস্বাদু, অধিক গুণসম্পন্ন, বাজারে চাহিদা ও দাম বেশি পাওয়া যাচ্ছে শুনে দেখতে এসেছি। আমরাও সামনের বছর বেগুনি ফুলকপি চাষ করব।’

কৃষক দম্পতি আমেদ আলী ও আজেদা বলেন, ‘বেগুনি ফুলকপি বাজারে নতুন হওয়ায় চাহিদা প্রচুর। ফলে সাধারণ ফুলকপির চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দামে গ্রাহকরা কিনছেন। এ ছাড়াও খরচের চেয়ে লাভের পরিমাণ কয়েকগুণ। তাই সামনের বছর আরও বেশি জমিতে বেগুনি ফুলকপির আবাদ করব।’

জয়পুরহাট জাকস ফাউন্ডেশনের কৃষি কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন শাহিন জানান, বেগুনি ফুলকপিতে অ্যান্টি অক্সিডেন্টের মাত্রা বেশি থাকায় মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। লাভজনক হওয়ায় কৃষকদের মাঝে এর চাষাবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জয়পুরহাট সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. কায়সার ইকবাল বলেন, ‘বিষমুক্তভাবে এ বেগুনি ফুলকপি চাষ করা হচ্ছে। পোকামাকড় দমনে কীটনাশকের পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে ফেরোমন ফাঁদ। বেগুনি ফুলকপি নতুন হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে উৎসাহ বেশি। দামও ভালো পাচ্ছে। ফলে এর চাষ সম্প্রসারণে আরও কাজ করবে কৃষি বিভাগ।’

পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জাকস ফাউন্ডেশনের সমন্বিত কৃষি ইউনিটের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বেগুনি ফুলকপি চাষ সম্প্রসারিত হচ্ছে এ জেলায়।

Advertisement