Homeসব খবরক্রিকেটবিশ্বকাপ সুপার লীগের শীর্ষেও বাংলাদেশ

বিশ্বকাপ সুপার লীগের শীর্ষেও বাংলাদেশ

অবশেষে লঙ্কা জয় করলো টাইগাররা। দীর্ঘদিনের অপেক্ষার পর অবশেষে শ্রীলংকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়লাভ করলো বাংলাদেশ। আজ মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১০৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।

একই সাথে ওয়ানডে সুপার লিগের শীর্ষেও উঠেছে টাইগাররা। বিশ্বকাপ সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলে ৫ জয়ে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বরে উঠেছে বাংলাদেশ। দুই, তিন ও চারে থাকা ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া।

মিরপুরে এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারেে আগেই ২৪৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে বৃষ্টি আইনে ৪০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪১ রান তুলতে সক্ষম হয় লঙ্কানরা।

রান তাড়া করতে নেমে আজও শুরু থেকে উইকেট হারাতে থাকে সফরকারীরা। প্রথম আঘাত হানেন অভিষিক্ত পেসার শরিফুল। এরপর আবারো লঙ্কানদের চেপে ধরেন সাকিব-মিরাজ। দুজনের স্পিন ঘুর্নিতে দাড়াতে পারেনি কেউই। শেষ দিকে মোস্তাফিজের আঘাতে টাইগারদের ৯ উইকেট হারিয়ে ধুকতে থাকে লঙ্কান লায়নরা।

৩৮ ওভার খেলা শেষে বৃষ্টি হানা দিলে পরবর্তীতে বৃষ্টি আইনে ৪০ ওভারে লঙ্কানদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৪৫ তে। তখন ২ ওভারে করতে হতো ১১৯ রান। শেষ পর্যন্ত ১৪ রান করতে সক্ষম হয় উইকেটে থাকা উদানা ও চামিরা।

মিরপুরে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে উইকেট হারানোর শুরুটা তামিম ইকবালকে দিয়ে। ইনিংসের প্রথম ওভারেই বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে ১৫ রান এনে দিয়ে দুর্দান্ত শুরুর আভাস দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন টাইগারদের ড্যাশিং ওপেনার। দুষ্মন্ত চামিরার বলে এলবিডব্লিউর শিকার হওয়ার আগে ৬ বলে ২ চারে ১৩ রান করেন তামিম।

অধিনায়কের বিদায়ের পরপরই রানের খাতা খোলার আগে বিদায় নেন সাকিব আল হাসান। চামিরার করা একই ওভারের চতুর্থ বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন দেশসেরা অলরাউন্ডার। সেই সঙ্গে টাইগারদের দুই টপ-অর্ডারের দুই উইকেট শিকারের পাশাপাশি ওভারটিতে কোনো রান দেননি লঙ্কান পেসার। নিজের দ্বিতীয় ওভারও মেইডেন নেন চামিরা।

ওপেনার লিটন দাস ও মুশফিক চেষ্টা করেন দলের বিপর্যয় সামাল দেওয়ার। কিন্তু দলীয় ৪৯ ওভারে বাংলাদেশ শিবিরে আঘাত হানেন সান্দাকান। ৪২ বলে ২ চারে ২৫ রানে বিদায় নেন লিটন। মোহাম্মদ মিঠুনের পরিবর্তে একাদশে পাওয়া সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (১০)। নিজের দ্বিতীয় শিকার হিসেবে তাকে তুলে নেন সান্দাকান।

শতরান পেরোনোর আগে টপ-অর্ডারের চার উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ ৮৭ রানের জুটি গড়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন।

তবে ‘ব্যাক টু ব্যাক’ ফিফটি থেকে ৯ রান দূরে থাকতে লক্ষণ সান্দাকানের তৃতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। তার ৫৮ বলে ৪১ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১ চার ও ২ ছয়ে। মাহমুদউল্লাহ ফেরার আগে ব্যাক টু ব্যাক ফিফটি উদ্‌যাপন করেন মুশফিক।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পর স্কোরবোর্ডে আর ১৭ রান যোগ হতেই বিদায় নেন আফিফ হোসেন (১০)। এরপর দলের চাপের মুখে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে বোল্ড হয়ে শূন্য হাতে সাজঘরে ফেরেন মেহেদী হাসান মিরাজ। পরবর্তীতে বাকি পথটা একাই সামলেছেন মুশফিক। অসাধারণ ব্যাটিং করে তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৮ নম্বর শতক। শেষ পর্যন্ত তার ১২৫ রানের ইনিংসে ভর করে ২৪৬ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।

Advertisement