Homeসব খবরজেলার খবরবারোমাসি বারি-১১ জাতের আম চাষে নূর ইসলামের সফল্য!

বারোমাসি বারি-১১ জাতের আম চাষে নূর ইসলামের সফল্য!

যশোরে বারি-১১ জাতের আম চাষে নূর ইসলাম সরদার সফলতা পেয়েছেন। তিনি এই জাতের আম চাষে শুধু সফল হননি, স্বাবলম্বীও হয়েছেন। জাতটি বারোমাসি হওয়ায় সারাবছরই বাজারে সরবরাহ করা যায়। বর্তমানে প্রতি কেজি আম ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও অসময়ে বাজারে সরবরাহকৃত এই আমের বাজারে বেশ চাহিদাও রয়েছে।

আম চাষি নূর ইসলাম সরদার যশোরের শার্শার উপজেলার বাগআঁচড়ায় ইউনিয়নের পিঁপড়াগাছী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বারোমাসি জাতের বারি-১১ জাতের আম চাষ করে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হয়েছেন। তিনি অনেকদিন যাবত অন্যের নার্সারিতে কাজ করতেন। চারা থেকে আরো ২২০০ চারা উৎপাদন করে চাষ শুরু করেন। আমের বাগান করার পরিকল্পনা থেকে তিনি ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আম গবেষণা কেন্দ্র চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে নতুন উদ্ভাবিত বারি-১১ জাতের আমের চারা সংগ্রহ করেন।

আমচাষি নূর ইসলাম বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবত নার্সারির কাজের সঙ্গে যুক্ত আছি। আগে অন্যের নার্সারিতে কাজ করার পাশাপাশি বাড়ির পাশে ফলদ নার্সারি গড়ে তুলি। তারপর ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আম গবেষণা কেন্দ্র চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে নতুন উদ্ভাবিত বারি-১১ জাতের আমের চারা সংগ্রহ করি। তা থেকে আরো ২২০০ চারা তৈরী করি। এছাড়াও আমের বাগান করা আমার অনেকদিনের একটি স্বপ্ন।

তিনি আরও বলেন, চারা উৎপাদনের পর ৩ বিঘা জমি সহ আরো ৩ বিঘা লিজ নিয়ে এই জাতের আমের চারা রোপন করি। চারা রোপনের ২ বছরের মধ্যেই গাছে ফল আসতে শুরু করে। এই জাতের আম বছরে ৩ বার পর্যন্ত সংগ্রহ করা যায়। প্রতি কেজি আম ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করছি। বর্তমানে বিঘাপ্রতি ৩৫-৪০ মণ আম সংগ্রহ করতে পারছি।

নূর আরও বলেন, গত বছর আম বিক্রি করে ৩ লাখ টাকা আয় করেছিলাম। এবছর এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার আম ও ৮০ হাজার টাকার চারা বিক্রি করেছি।

এই ‍উপজেলায় ফজলি, আম্রপালি, হিমসাগর সহ বিভিন্ন জাতের আমের প্রায় ৩ হাজার ১৪৪টি বাগান রয়েছে। প্রায় ২ হাজার চাষি আম চাষের সাথে যুক্ত আছেন। স্থানীয় চাষি নূর ইসলাম বারোমাসি বারি-১১ জাতের আম চাষ করে সফলতা পাওয়ার পাশাপাশি যুবকদেরও আম চাষের প্রতি উৎসাহিত করছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তরুণ বালা বলেন, স্থানীয়ভাবে ল্যাংড়া, হিমসাগর, ফজলি ইত্যাদি আমের ব্যাপক চাষ হলেও কেউ কেউ বারি-৪, বারি-১১ এবং কাটিমন জাতের বারোমাসি আমও চাষ করছেন। এতে চাষিরা বছরে তিনবার ফলন পাচ্ছেন। আর অসময়ে বাজারে আম বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন।

শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ কুমার মন্ডল বলেন, নূর ইসলাম একজন সফল চাষি। তিনি বারোমাসি জাতের বারি-১১ আম চাষে সফল হয়েছেন। ফলটি বারোমাসি হওয়ায় বাজারে অসময়েও পাওয়া যায়। এতে সময়ে ও অসময়ে আম বিক্রি করে তিনি লাভবান হতে পারে। তার মতো যদি অন্যকেউ চাষ করতে চাষ তাদেরকেও সহযোগিতা করা হবে। আমরা তাকে চাষের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকি।

Advertisement