Homeঅন্যান্যবারোমাসি আম চাষে স্বপনের চমক, কোটি টাকা বিক্রির আশা!

বারোমাসি আম চাষে স্বপনের চমক, কোটি টাকা বিক্রির আশা!

স্বপন তার বাগানে কাটিমন, ফিলিপাইন সুপার, বারি-১১, বারোমাসি খিরসাপাত সহ কয়েক জাতের প্রায় ৭০০-৮০০ মণ আম গাছে ঝুলছে। প্রায় ২০ জন শ্রমিক প্রতিদিন তার বাগানের গাছ গুলোর দেখাশোনা ও পরিচর্যার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। আমের মৌসুম শেষ হলেও চাপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে স্বপনের বাগানে রয়েছে ৮০০ মণ বারোমাসি আম। তার বাগানের কিছু গাছে মুকুল রয়েছে। কিছু গাছে রয়েছে আমের গুটি। সেগুলো আরো দুই মাস পরে বিক্রি করতে পারবেন। এবছর প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকার আম বিক্রির আশায় আছেন স্বপন।

কৃষি বিভাগ বলছে, জেলায় বারোমাসি কাটিমন আমের অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। সারা বছর এই আমের চাহিদা রয়েছে। বিক্রিও হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। এতে বাগানিরা লাভবান হচ্ছেন।

আম চাষি স্বপন বলেন, অল্প পরিসরে প্রায় ৬ বছর আগে বারোমাসি আমের চাষ করেছিলাম। শীতে আম বিক্রির ইচ্ছা নিয়ে প্রায় ১ বারোমাসি আমের চারা রোপন করেছিলাম। গত বছর প্রায় ১৮ লাখ টাকার আম বিক্রি করেছি। এবছর আমার ৯শত গাছে প্রায় ৭০০-৮০০ মণ আম রয়েছে। আশা করছি এবছর ১ কোটিরও বেশি টাকার আম বিক্রি করতে পারবো।

তিনি আরো বলেন, আমার বাগানের আম চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে। আম বিক্রি শুরু করেছি। প্রায় ১ লাখ টাকার আম বিক্রি করছি। বাগানে আরো ৭০০-৮০০ মণ আম রয়েছে। ধীরে ধীরে সব আম বিক্রি হয়ে যাবে। আমি কাটিমনসহ বিভিন্ন জাতের আমের নার্সারিও গড়ে তুলেছি। এতে আম চাষ বাড়াতে পারবো। আর গাছ বিক্রি করে বাড়তি আয়ও হবে।

শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, বিগত কয়েক বছর যাবত মৌসুমী আম চাষিরা লোকসানে পড়ছে। তাই তারা এখন বারোমাসি আম চাষেও ঝুঁকছে। এতে মৌসুমের আমে লোকসান হলেও বারোমাসি আম বিক্রি করে তা পুষিয়ে নিয়ে তারা লাভবান হচ্ছেন। এই উপজেলায় মোট ৮০ হেক্টর জমিতে কাটিমন আমের চাষ হয়েছে। এই আমের চাষ বৃদ্ধি পেলে বিদেশেও আম রপ্তানির সম্ভাবনা প্রবল হবে।

Advertisement