Homeসব খবরজেলার খবরবান্দরবানে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে কাজু বাদাম চাষ, ১০ মাসেই মিলছে...

বান্দরবানে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে কাজু বাদাম চাষ, ১০ মাসেই মিলছে ফলন

আকারে বড় ও বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় ভিয়েতনামের এম-২৩, ইন্ডিয়ান ভিএলএ-৪ ও ভাষকরা প্রজাতির কাজু বাদাম চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। এই তিন বিদেশি জাতের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে ভিয়েতনামের এম-২৩। বান্দরবানে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বিদেশি কাজু বাদামের চাষ। বেশি লাভের আশায় কাজু বাদাম চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা। কাজু বাদাম বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের স্বপ্ন দেখছেনে তারা।

বান্দরবান সদর উপজেলার সাংগ্রাই ত্রিপুরা পাড়ার কাজুবাদাম চাষি জনরাই ত্রিপুরা বলেন, ২০২১ সালের বান্দরবান কৃষি অফিস থেকে ৭০৫টি এম-২৩ প্রজাতির কাজু বাদামের চারা পেয়ে রোপণ করি। চারা লাগানোর ১০ মাসের মধ্যে বেশ কয়েকটি গাছে দেশীয় থেকে তুলনামূলক বড় আকারের ফলন পেয়েছেন।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারি এলাকার কাজু এন্ড কাজু এগ্রোর ওয়াজেদুল ইসলাম মোবিন বলেন, গত বছর ১৫০০ এম-২৩ প্রজাতির কাজু বাদামের চারা লাগিয়ে শুরু করেন বিদেশি কাজু বাদামের চাষ। চারাগুলোতে ফলনের আকার ও আকৃতি দেখে উৎসাহিত হয়ে ৮৫ একর জায়গায় এবছর আরও ৫ হাজার এম-২৩ প্রজাতির কাজু বাদামের চারা রোপণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

বান্দরবান সুয়ালক লম্বারাস্তা এলাকার কাজু বাদাম নার্সারি এএল এগ্রো লি. এর স্বত্বাধিকারী ইফতেখার সেলিম অগ্নি বলেন, গত বছর ২০২১ থেকে বাণিজ্যিকভাবে এম-২৩ প্রজাতির চারা উৎপাদন শুরু করি। সে সময় ৩ লাখ চারা উৎপাদন করে বিক্রয় করি। চলতি বছর একই প্রজাতির উন্নতমানের ৯ লাখ বীজ হতে সাড়ে ৩ লাখ চারা উৎপাদন করেছেন।

বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী উদ্যান কর্মকর্তা মাসুদ পারভেজ চৌধুরী বলেন, ২০২১ সালে জেলায় ১২৬.৭৪ হেক্টর জমিতে এম-২৩ প্রজাতির কাজু বাদামের চারার চাষ হয়েছে। চলতি বছর আরও অনেকেই এম-২৩ জাতের কাজু বাদামের আবাদ করছে। গতবছর যারা এই জাতের চারা লাগিয়েছিল এরই মধ্যে কিছু কিছু গাছ হতে ফলন পেতে শুরু হয়েছে। তবে পরিপূর্ণভাবে কাঙ্ক্ষিত ফল পেতে ৪ থেকে ৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে চাষিদের।

বান্দরবান সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক জানান, বান্দরবান সদর উপজেলায় ২০২১ সালে ৫ হেক্টর পাহাড়ি জমিতে এম-২৩ কাজু বাদামের চাষ হয়েছিল। এবং ১০ হাজার এম-২৩ প্রজাতির কাজু বাদাম চারা বিতরণ করা হয়েছিল। বান্দরবানের মাটি কাজু চষের অনুকূল হওয়ায় ১ বছরের মধ্যেই বেশ কিছু চারাতে ফলন এসেছে।

Advertisement