Homeসব খবরজেলার খবরবাড়ছে পতিত জমি ও বসত বাড়ির আঙিনায় সবজি চাষ

বাড়ছে পতিত জমি ও বসত বাড়ির আঙিনায় সবজি চাষ

সিরাজগঞ্জে বাড়ির আঙিনায় সবজি বাগান করে সাবলম্বী হচ্ছেন ১ হাজার ১৫৮ জন নারী-পুরুষ। বাড়ির আঙিনায় সরকারি প্রকল্পের আওতায় এসব পতিত জমিতে মাটি ফেলে সবজি চাষ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন সিরাজগঞ্জের ১ হাজার ১৫৮ জন নারী-পুরুষ। শুধু সিরাজগঞ্জই নয়, এই ধারাবাহিকতায় এগিয়ে যাচ্ছে সারাদেশের নারী-পুরুষরা।

এসব বাগান স্বামীর পাশাপাশি শখের বসে নিয়মিত দেখাশোনা করেন স্ত্রী-সন্তানরা। এতে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনদেরও সবজি যোগান দিয়ে থাকেন। প্রায় ২০ প্রকারের সবজি চাষ করছেন এসব উদ্যোগী কৃষক। এ বছর কামারখন্দ উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় অনাবাদি পতিত জমি ও বসত বাড়ির আঙিনায় ৫৪টি প্রদর্শনী স্থাপন করেছে পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রকল্প। গত ২৫ ডিসেম্বর দিনভর প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী এসব পরিদর্শন করেন।

জেলার কামারখন্দ কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তাহসীন তাবাসসুম বলেন, ‘আমরা সার্বক্ষণিক কৃষকদের সহযোগিতা করছি বাড়ির উঠানে বিষমুক্ত সবজি চাষ করতে।’

এদিকে, কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট মুগবেলাই গ্রামের সোনাউল্লাহ সেখের ছেলে আসাদুল্লাহ বাড়ির আঙিনায় বিষমুক্ত সবজি বাগান গড়ে তুলেছেন। সবজির পাশাপাশি আছে বিভিন্ন ফল ও মসলা জাতীয় ফসল। সবজির মধ্যে আছে বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমোটো, পেঁপে, লালশাক, পুইশাক, বেগুন, পালংশাক, বরবটি, ঢেঁড়শ। উপজেলায় আসাদুল্লাহ ও লিলি খাতুনসহ ৫৪টি পরিবার বাড়ির আঙিনায় সবজি বাগান করেছেন।

জানা যায়, সরকারের পক্ষ থেকে পুরো জেলায় এ বছর ১ হাজার ১৫৮ জনের বাড়ির আঙিনায় সবজি বাগান করে দেওয়া হবে। যা গত বছর ছিল মাত্র ৩৩৬ জনের বাড়ির আঙিনায়। এতে বাঁশ, খুঁটি সবই বিনা মূল্যে দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে বিভিন্ন সবজির বীজ, সার দেওয়া হয়। নিয়মিত কৃষি অফিসার এবং উপ-সহকারী কৃষি অফিসাররা তদারকি করে থাকেন।

বাড়ির উঠানে সবজি চাষি আসাদুল্লাহ বলেন, ‘আমার ছোটবেলা থেকেই সবজি চাষের প্রতি আগ্রহ বেশি। তখন থেকেই বাড়ির পাশে বিভিন্ন ফল, ফুলের গাছ লাগাতাম। বর্তমানে সরকারের পক্ষ থেকে সুযোগ পেয়ে সবজি বাগান করেছি। প্রায় ২০ প্রকারের সবজি, মসলা, ফুলের গাছ আছে।’

কৃষিবিদ কামরুল হাসান বলেন, ‘কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে পতিত ও অনাবাদি এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি থাকবে না।’

Advertisement