মাল্টা চাষ করে আমতলীর কুকুয়া ইউনিয়নের কেওয়াবুনিয়া গ্রামের হাবিবুর রহমান এখন একজন সফল উদ্যোক্তা। মাল্টা চাষ করে বাজিমাত করেছেন এবং স্বাবলস্বী হয়েছেন। প্রতিদিন মানুষ তার বাগান দেখতে ভিড় করছেন। তার এই সফলতা দেখে অনেক কৃষক মাল্টা চাষের প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন। ২০ বছর তিনি সৌদি আরবে ছিলেন। দেশে ফিরে অনলাইনে দেখে মাল্টা চাষে আগ্রহী হন। তারপর বাড়ির পাশের ১৫ বিঘা জমিতে প্রায় ৫ হাজার মাল্টা চারা রোপন করে চাষ করা শুরু করেন। মাল্টা চাষের পাশাপাশি তার আম, লিচু, লেবু, কলা, পেঁপের বাগানও রয়েছে।
মাল্টা চাষি মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, বিদেশ থেকে ফিরে অনলাইনে দেখে মাল্টা চাষে আগ্রহী হই। তারপর বাড়ির পাশের ধানের জমিতে মাটি কেটে উঁচু করে সেখানে ৫ হাজার মাল্টা চারা রোপন করে চাষ করা শুরু করি। চারা রোপনের দেড় বছর পর অল্প কিছু ফল আসে তাতে প্রায় ১ লক্ষ টাকার মাল্টা বিক্রি করি। ধীরে ধীরে মাল্টার সংখ্যার পাশাপাশি বিক্রিও বাড়ে। এভাবে প্রায় ১২ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি করি।
তিনি আরো বলেন, এবছর গাছে যে পরিমাণ ফল এসেছে তাতে প্রায় ৪-৫ লক্ষ টাকার মাল্টা বিক্রি করতে পারবো। আমি মাল্টার পাশাপাশি কাগজী লেবু, সবরি কলা, পেঁপে এবং রাজশাহী থেকে আনা বোম্বাই জাতের লিচু এনে চাষ করছি। এসকল ফল থেকে বেছরে প্রায় ৩-৪ লক্ষ টাকা আয় হয়। এছাড়াও আমার ৩ বিঘার ২ টি পুকুর রয়েছে। পুকুরে রুই, কাতলা, মৃগেল, চিংড়ি সহ নানা জাতের মাছ চাষ করি। মাছ থেকে বছরে প্রায় ৩-৪ লাখ টাকা আয় আসে।
আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিএম রেজাউল করিম বলেন, হাবিবুর রহমান একজন সফল মালটা চাষী। তার এই সফলতায় কেওয়াবুনিয়া গ্রামসহ আশ পাশের অনেক কৃষক এখন তার দেখা দেখি বাড়ির নানা জাতের ফল চাষ করছেন। আমরা কৃষি অফিস থেকে তাকেসহ অন্যান্য কৃষকে উদ্ধুদ্ধ করছি ফল চাষে।