বগুড়ার আদমদীঘিতে কমেছে কাঁচামরিচের দাম। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে ২০০ টাকা থেকে কমে কাঁচামরিচ এখন ১০-১৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচের দাম কমায় হতাশ চাষিরা। চাষিরা বলছেন, মরিচ বিক্রি করে শ্রমিকের মজুরই তুলতে পারছি না।
জানা যায়, এবছর আদমদীঘি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় তিন শতাধিক বিঘা জমিতে কাঁচামরিচ চাষ করা হয়। আগস্ট মাসে উপজেলায় কাঁচামরিচের দাম ২০০ টাকা কেজি থাকলেও এখন তা নেমেছে ১০ টাকায়। তখন দাম বেশি থাকায় কৃষকের মুখে হাসি থাকলেও ক্রেতারা বিপাকে পড়েছিলেন। বৃষ্টিতে কাঁচামরিচের জমি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় উৎপাদন কমে গিয়েছিল। ফলে দামও বেড়েছিল। এখন ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি করায় দেশের বাজারে কাঁচামরিচের কোনো সংকট নেই। দামও কমেছে।
সালগ্রামের চাষি আলতাফ আলী খাঁ বলেন, বাজারে এখন কাঁচামরিচের দাম নেই বললেই চলে। জমিতে মরিচ তুলতে একজন শ্রমিককে ২৫০ টাকা দিতে হয়। সারদিনে একজন শ্রমিক ২০ কেজি মরিচ তুলতে পারে। সেই মরিচ বাজারে বিক্রি করে শ্রমিকের মজুরিই দিতে পারছিনা। এখন বাজারে কাঁচামরিচের ভালো দাম না পেয়ে লোকসানে পড়তে হচ্ছে।
পাইকার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বৃষ্টির কারণে জমিতে কাঁচামরিচ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে বাজারে কাঁচামরিচের সংকট দেখা দেয়। সাথে সাথে দাম বেড়ে যায়। গত মাসে কাঁচামরিচের দাম প্রায় ২০০ টাকা কেজি ছিল। এখন ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি হওয়ায় দেশে কাঁচামরিচের সংকট নেই। কাঁচামরিচের ব্যাপক সরবরাহ থাকায় দাম কমেছে।