Homeসব খবরজেলার খবরফুলকপি চাষে সফল মানিকগঞ্জের বাবুল

ফুলকপি চাষে সফল মানিকগঞ্জের বাবুল

ফসল ভালো হওয়ায় এবং বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় খুশী কৃষক বাবুল। এখন তার দেখাদেখি গ্রামের অনেকেই ফুলকপি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বরুরিয়া গ্রামের বাবুল মিয়া ফুলকপি চাষ করে সফল হয়েছেন। দশ কাঠা জমি দিয়ে চাষ শুরু করে বর্তমানে পাঁচ বিঘার অধিক জমিতে ফুলকপি চাষ করছেন তিনি।

চারা রোপণের ২ থেকে আড়াই মাসের মধ্যে ফুলকপি বিক্রির উপযোগী হয়ে যায়। বিক্রি করার সময় প্রতি কেজির দাম পরে ২০-৩০ টাকা। আবাহাওয়া প্রতিকূলে থাকায় এবং পোকা মাকড়ের আক্র’মণ কম হয়াতে বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল তুলা শেষ হওয়া পর্যন্ত ৫ বিঘা জমিতে খরচ হয় প্রায় এক লাখ বিশ হাজার টাকা।

বাবুল মিয়া বলেন, ২০১৮ সালে মাত্র ১০ কাঠা জমিতে আমি ফুলকপি চাষ শুরু করি। প্রথম বছরেই অল্প চারা রোপণ করেই লাভবান হই। পরের বছর ১ বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করি। ফলন ভালো হওয়ায় এবং বাজার দাম ভালো পাওয়ায় ফুলকপি চাষে আমার জীবনের সফলতা শুরু। আমি মনে করি নিজের বাড়তি সময় নষ্ট না করে সকলেরই সবজি চাষে এগিয়ে আসা উচিত। যদিও তেল, সার, কীট’নাশক ও শ্রমিক খরচ বাড়ায় এবার আবাদে দ্বিগুণ খরচ হয়েছে। তারপরও ফলন হয়েছে ভালো। আমি অল্প অল্প করে জমি বাড়িয়ে ৫ বিঘা জমিতে প্রায় ৪০ হাজার ফুলকপির চারা রোপণ করি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আবু মো. এনায়েত উল্লাহ বলেন, বাবুল মিয়া একজন সফল চাশি।তার দেখা দেখি এখন অনেকেই ফুলকপি চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে।কম খরচে অধিক লাভজনক সবজির হচ্ছে ফুলকপি। আমরা নিয়মিত কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে আসছি। শীত মৌসুমে এলাকাভেদে ফুলকপি দুই থেকে তিনবার চাষ করা যায়।

Advertisement