Homeসব খবরবিনোদনফিল্মে আসার সৎ সাহসটি পাইনি আগে : নিশো

ফিল্মে আসার সৎ সাহসটি পাইনি আগে : নিশো

২০০৪ সালে সিনেমা শুরুর পর ২০২৩ সালে এসে সিনেমায়। এই সিদ্ধান্ত নিতে এত বিলম্ব হলো কেন?

– আমি সবসময়ই সিনেমা করতে চেয়েছিলাম। একটি পেলাম আর করে ফেললাম, এমনটি কখনো করতে চাইনি। সিনেমা করার জন্য একটি বিশাল অ্যারেঞ্জমেন্ট দরকার, একটি ভালো গল্প দরকার। তা ছাড়া সবচেয়ে বড় কথা প্রস্তুতি থেকে শুরু করে একটি ভালো সময়ের দরকার। এর আগে অনেক সিনেমার প্রস্তাব এলেও অনেকে সে সময়টি দিতে চাইতেন না।

সিনেমার জন্য যে সময়টি আমি ব্যয় করব এই সময় তো আমি অন্য কাজ করতে পারব না। পেশাদারভাবে সিনেমায় আসতে চেয়েছিলাম। সেটি পারছিলাম না বলেই এতদিন নাটকে ছিলাম। সব কিছু মিলিয়ে হচ্ছিল না, ফিল্মে আসার সৎ সাহসটি পাইনি আগে। এখন সময় বদলাচ্ছে। এখন ফিল্মে অনেক কিছু দেখেই ‘জাস্ট ওয়াও ফ্যাক্ট’ কাজ করে। মনে হয়েছে এখন সিনেমা করা যায়। আর এই সিনেমার গল্প শোনার পর থেকেই মনে মনে কাজটি করার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকি।

‘সুড়ঙ্গ’-এর জন্য আপনার চরিত্রের প্রস্তুতি ঠিক কেমন ছিল?

– কেউ অবজারভেশন থেকে অভিনয় করে, কেউ থিওরি এপ্লাই করে আবার কেউ মেথড অ্যাক্টিং করে। কিন্তু আমি ওপেন থাকার চেষ্টা করছি। বেশি স্টাক হওয়ার চেয়ে রিল্যাক্স থাকা জরুরি। জাস্ট গো ইউথ দ্য ফ্লো! অভিনয়ের অনেক পথ আছে। মূলত গল্প ভাবনা শোনা এবং স্ক্রিপ্ট পড়া থেকে আমার প্রস্তুতি শুরু হয়। আগে কাজটি করি এরপর না হয় দর্শকরা হলে গিয়ে দেখুক। মাঝে অনেক দিন কাজ করিনি, ভবঘুরের মতো ঘুরেছি। এর মধ্যে ওজন কমিয়েছি ১৩ কেজির মতো যেটি আসলে নিজের জন্য দরকার ছিল। কিন্তু এটি সিনেমার চরিত্রটিকে প্লাস করবে, কারণ ওই চরিত্রটির জন্য একটু লিন থাকা জরুরি। সিনেমার নাম যেহেতু ‘সুড়ঙ্গ’, মাটির নিচে যেতে হবে। অনেক কাটসাটের পর স্ক্রিপ্টের ফাইনাল ড্রাফট হাতে পেলাম দুদিন আগে। এখন দেখা যাক কী হয়, ৫ মার্চ থেকে শুটিং শুরু করতে যাচ্ছি।

এখন কি তাহলে ভাবনা শুধুই সিনেমা?

– মডেলিং দিয়ে আমার শুরু, এরপর নাটক-ওটিটি করেছি। এখন সিনেমা নিয়ে ভাবছি। আমার কাছে এই সবগুলোকেই একেকটি আলাদা মাধ্যম মনে হয়। আমার কাজ অভিনয় করা, কনন্টেট করা; কোথায় করছি সেটি না। টেলিভিশনে যে বাজেটে কাজ হয় ওটিটিতে তার চেয়ে বেশি এবং সিনেমাতে সেটি আরো বেশি। সিনেমাতে কাজ করলে বা ব্যস্ততা বাড়লে অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের কাজ বাদ দেয়ার ধৃষ্টতা আমার নেই। হয়তো কম কাজ হবে কিন্তু আমি বাদ দিতে পারব না। যদি নাটক করি তাহলে একটি করতে পারব না। করলে ১০টি করতে হবে যাতে আমার প্রতি কেউ মনোক্ষুণœ না হয়। তা ছাড়া আমরা যারা শিল্পী কিংবা নির্মাতা তাদের প্রত্যেক মাধ্যমেই বারবার নিজেকে প্রমাণ করতে হয়। সিনেমায় যদি অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের মতো নিজেকে প্রমাণ করতে পারি তাহলে অন্য মাধ্যমে কাজ কম করা হবে। আবার যদি দেখি সিনেমা কম করা হচ্ছে তখন হয়তো ওটিটির ভালো গল্পটা চুজ করব।

প্রথম সিনেমা, কোনো ভয় কাজ করছে?

– সবাই কিন্তু সফল-ই হতে চায়। তবে সফল হলে যেন অহঙ্কার না আসে সেটি খেয়াল রাখা উচিত। আমি মনে করি যখন ব্যর্থতা আসে তার মানে থেমে যাওয়া নয়, ব্যর্থতা একটি শিক্ষা। দীর্ঘদিন কাজ করে অনেকবার হেরেছি আবার জিতেছি। ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আবার আপ্রাণ চেষ্টায় সাফল্যের দেখা পেয়েছি।

সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে একটি অদৃশ্য পলিটিক্স বিরাজমান! এসব বিষয়ে আপনি অবগত?

– ভালো কাজে যদি ঝামেলা আসে বা আটকানোর চেষ্টা করা হয় তবে সেটি ভালোভাবেই মোকাবেলা করা উচিত। কেউ যদি পলিটিক্স করে তাহলে সেটি পলিটিক্সের মাধ্যমে জবাব দিতে হবে। পারফরমার হিসেবে আমার ধর্ম হচ্ছে কাজ। কাজটিই সব কিছুর প্রতিফলন করাবে। একটি ভালো কাজ যদি পলিটিক্সের মাধ্যমে মুখ থুবড়ে পড়ে তাহলে সেই প্ল্যাটফর্ম মোটেও আমাদের হবে না। এসব নিয়ে আমি কখনো ভয় পাই না।

Advertisement