Homeসব খবরজাতীয়ফিলিস্তিনের পক্ষে বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের বিক্ষোভ

ফিলিস্তিনের পক্ষে বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের বিক্ষোভ

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের হামলার প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল করেছে খেলাফত মজলিস। শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে মসজিদের উত্তর গেট থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়।

এর আগে মসজিদের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করেন আরও দুটি সংগঠনের কর্মী-সমর্থকরা। বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ ও ইউনাইটেড মুসলিম উম্মাহর ব্যানারে বিক্ষোভ হয়। খেলাফত মজলিসের ব্যানারে দুই শতাধিক নেতা-কর্মীর মিছিলটি পল্টনের নাইটেঙ্গেল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিলে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের বোমা হামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। ‘ইসরায়েলের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ইহুদিবাদ নিপাত যাক’ স্লোগানে স্লোগানে পল্টন এলাকা প্রকম্পিত হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে গাজায় হামলা নিয়ে বিশ্ব নেতৃত্বের নীরবতার নিন্দা জানানো হয়। জাতিসংঘ, ওআইসি আরব লীগ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর নীরবতাকে ‘বোবা শয়তান’ বলেছেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফেজ মাওলানা আবদুস সাত্তার।

খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক কেএম আলম বলেন, আমরা জাতিসংঘ ও ঐক্যবদ্ধ বিশ্ব মুসলিম শক্তিকে আহ্বান জানাচ্ছি ইসরাইলের বিরুদ্ধে ভূমিকা পালন করার জন্য। ইসরাইল নিজেই অবৈধ। অথচ তারা নিজেরাই অবৈধভাবে শক্তি প্রয়োগ করছে ফিলিস্তিনী নর-নারীর ওপরে। এটা কোনোভাবে বরদাস্ত করা যায় না। দুঃখজনক হলেও সত্য ইসরাইলের পৈশাচিক দখল, নিরীহ মানুষের ওপর হামলা-নির্যাতন খুনের ঘটনায় বিশ্ববিবেক এখনো নীরব ভূমিকা পালন করছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ফিলিস্তিনি মুসলমান ভাই-বোনদের পাশে রয়েছে বাংলাদেশের মুসলমান শান্তিকামী মানুষ।

গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফেজ মাওলানা আবদুস সাত্তার বলেন, ইসরাইল শান্তি প্রিয় ফিলিস্তিনের নারী, পুরুষ, মাসুম শিশু, যুবকসহ সর্বস্তরের মুসলিম জনগণের ওপর যে বর্বোরোচিত হামলা চালিয়ে আসছে তা দেখেও নীরব জাতিসংঘ, ওআইসি, আরব লীগসহ তথাকথিত মানবাধিকার সংস্থাগুলো। এটা লজ্জার। তাদের নীরবতা দেখে তারা বোবা শয়তানের পরিচয় দিচ্ছে। তাই আমরা মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আলাদা মুসলিম জাতিসংঘ খোলার দাবি জানাচ্ছি।

Advertisement